কম খরচে করোনা সনাক্ত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি পিসিআর ল্যাব দাবি

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলা ৪০৬জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যে জেলা শহরের চারটি এলাকা ও কসবার তিনটি এলাকা লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী হাজারের উপর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কিন্তু গত দুইদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি। ফলে দ্রুততম সময়ে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারি ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জোড় দাবিতে সোচ্চার জেলার বাসিন্দারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বেসরকারি ভাবে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আপাতত এটি পরীক্ষামূলক চললেও আগামী ২০জুন এটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার কথা রয়েছে। বেসরকারি ভাবে এই ল্যাবে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করাতে গুনতে হবে মোট ৩হাজার ৭শত টাকা। সরকারিভাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে সর্বোচ্চ ৩হাজার ৫শত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় ওই বেসরকারি ল্যাব কর্তৃপক্ষ। তাই নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফির সাথে আরও ২০০টাকা চার্জ নির্ধারণ করে হাসপাতালটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। তাদের দাবি সরকারি ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হোক। কারণ দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এতটাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। অনেকে আবার এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্য বলেন, এত উচ্চ মূল্য দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে। সরকারি ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলে জনসাধারণ স্বল্প মূল্যে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী হবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ জানান, সরকারি ভাবে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে।