ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিজয়নগরে হুগলি বিলের আধিপত্য নিয়ে দু-পক্ষের হামলায় পুলিশ সহ আহত ১৫

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউপির বুল্লা হুগলি বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পুলিশ সহ ১৫ জন আহত হয়েছে । আহত পুলিশের এএস আই মোশারফ হোসেন , আব্দুল ওয়াদুদ ও পুলিশ সদস্য সাইফুল সহ আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়েছে ।

পুলিশ ও প্রত্যেক্ষ দর্শীরা জানান ,হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের হুগলি বিল বুল্লা বড় উঠান মৎস্য জীবি সমবায় সমিতি জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে বুল্লা গ্রামের সাবেক মেম্বার ফুল ইসলাম ও তার ছেলে বর্তমান মেম্বার কাওছার মিয়ার কাছে কয়েকদিন আগে মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি হিরালাল দাস ও সাধারন সম্পাদক নারায়ন দাস আবার নতুন করে ইজারা দেন । ইজারা নিয়ে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে তারা পার্শবর্তী পাইকপারা ,হাজিপুর ,হাতুরা পাড়া গ্রামের ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে বাধ নির্মান করলে পাইকপাড়া গ্রামের কাসেম মেম্বার ও রাজু সরদারের নেতৃত্বে একদল লোক বাধা দেয়। পরে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে একাধিক বৈটক করে ।গত তিনদিন আগে এই ঘটনাকে উস্কে দিতে কাওসার মেম্বোর মৎস্যজীবি সমিতির লোকজন দিয়ে সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে তাদের আত্বীয় নাসির নগর উপজেলার নিহারন্দ চক্রবর্তী নামের একটি ফেইজবুক আইডি থেকে মুসলমানরা হিন্দুদের নির্যাতন করা হচ্ছে বলে একটি ভিডিও আপলোড করে গুজব ছরায় এতে কাজ না হলে আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে বুল্লা গ্রামের মসজিদের মাইকে সাবেক মেম্বার ফুল ইসলাম ও কাওছার মেম্বারের লোকজন পাইকপড়া, হাজীপুর, হাতিরা পাড়া গ্রামে হামলা চালানোর ঘোষনা দেয় ,পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে সাবেক মেম্বার ফুল ইসলাম ও কাওছার মেম্বারের লোকজন পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করলে পুলিশ সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়।

এব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফয়জুল আজীম সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান , সাবেক মেম্বার ফুল ইসলাম ও তার ছেলে কাওছার মেম্বারের লোকজন অবৈধভাবে বিল দখল করতে কয়েকদিন ধরে এলাকায় গন্ডুগুল করছে এবং সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা লাগাতে নানামুখী চেষ্টা করছে এনিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা চলছিল এবং পাইকপাড়া,হাজিপুর ও হাতুরা পাড়া গ্রামের কাসেম মেম্বার ও রাজু সরদারের লোকজন প্রশাসনের কথা শুনে চুপ থাকলেও বুল্লা গ্রামের কাওছার মেমম্বাররা না মেনে গোলমাল সৃষ্টি করেছে , এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড গুলি ছুরছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।