নাসিরনগরে পাচারের সময় ১৩শ কেজি ভিজিডির চাল জব্দ

প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভিজিডি কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বস্তা পরিবর্তন করে পাচারের সময় হ্যান্ড ট্রলিসহ ১৩শ কেজি চাল জব্দ করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে এ চাল উদ্ধার করে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দাবি ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে, তবে স্থানীয়দের দাবি ১৩শ কেজি চাল।
বুধবার (১৬ জুন) সকালে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একশ গজ দূরে নৌকা ঘাটে ট্রলিসহ এ চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ১৫ জুন গোয়ালনগর ইউনিয়নের ১২৭ জন হতদরিদ্র নারীদের মধ্যে ভিজিডি কর্মসূচির তিন হাজার আটশ কেজি চাল বিতরণ করার কথা। কিন্তু সব চাল বিতরণ না করে কালোবাজারির কাছে ১৩শ কেজি চাল বিক্রি করে দেয়।
বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কাছে নৌকা ঘাটে গোয়ালনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া মিলে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে। বিষয়টি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে নৌকাঘাটে যায়। তখন চাল পাচারকারি মমিন মিয়া, শফিকুল মিয়া ও নাসিরনগরের একজন চাল ব্যবসায়ী স্থানীয়দের দেখে পালিয়ে যায়। এ সময় একটি হ্যান্ড ট্রলিসহ ৪৪ বস্তা (১৩শ কেজি) চাল জব্দ করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা চাল আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে জব্দকৃত চাল উদ্ধার করে।
গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আজিলক মিয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদের কাছে প্রকাশ্যে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে চাল পাচার করছিলো কয়েকজন। আমি এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানালে সবাই মিলে চাল আটক করি। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি অবগত হলে পুলিশ পাঠায়।
এ বিষয়ে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, আমি বাড়িতে নেই। শুনেছি গোয়ালনগর ইউনিয়নের মমিন মিয়া ও শফিকুল মিলে উপকার ভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে নাসিরনগরের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার সময় স্থানয়ীরা একটি ট্রলিসহ চাল আটক করে। পরে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুণ বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাল আটকের বিষয়ে ফোন করে আমায় জানায়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।