মুনতাসিরকে সভাপতি ও সানিউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খাঁন মেনন এমপি বলেছেন, “আজকে ছাত্র আন্দোলন অনেকখানি অবক্ষয় হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ক্ষমতার লোভ ডুকছে। ভোগবাদিতা ডুকেছে। এটা তাদের দোষনয়। এটা রাজনৈতির দোষ। ” তিনি আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী জেলা শাখার ১৫ তম জেলা কাউন্সিলে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান আরো বলেন,রাজনীতির মধ্যে যখন দুবৃত্তায়ন ঘটে। সাম্প্রদায়িকতা ঘটে,”তখন ছাত্র তরুন সমাজের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটবে খুবই স্বাভাবিক। তারপরও আজকে জাতি তাকিয়ে আছে ছাত্রদের দিকে। তারা নিশ্চই এই লড়াইয়ে পথ দেখাবে। তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি।
দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি বলেন,যখন দেশে দুবৃত্তায়ন ঘটে চলেছে। বিচার হীনতার সাংস্কৃতি প্রবল ভাবে উস্কে ধরেছে। ধর্ষন মহামারী আকার রূপ নিয়েছে,” তখন ছাত্ররাই এগিয়ে এসে লড়াই শুরু করেছে। আমাদের সময় কাল থেকে তারা অনেক বেশি সাহসি লড়াই করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে এমন একটি জায়গা এখানে ধর্মের নামে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতালয় ভেঙ্গে গুড়িয়ে নষ্টকরে দেয়া হয়েছে। যার মূল্যবান নিদর্শন এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখানে ধর্মের নাম করে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর ব্যবস্থা করানো হয়। অথচ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে অসম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে। তিনি ছাত্রমৈত্রীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতাকর্মীদের মাঝে সংগঠনটির বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ত্যাগের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল বলেন, “সারাদেশে যে ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থা সহ সকল সেক্টরে দূর্নীতি, লুটপাট, ধর্ষণের মহোৎসব চলছে ছাত্ররা জ্বলে না উঠলে এর বৃত্ত ভাঙ্গবে না।” সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা ছাত্র মৈত্রীর আহবায়ক মুহয়ী শারদ এর সভাপতিত্বে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,কমরেড এড: কাজী মাসুদ আহামেদ, সাধারন সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ খান, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম,
রাজনৈতিক শিক্ষা ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াতুননেছা রুমা,জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সহ সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ। এর আগে সভার শুরুতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সানিউর রহমান। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক ফাহিম মুনতাছির।

উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে ফাহিম মুনতাসিরকে সভাপতি, সানিউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ও জুবায়েদ আহমেদ সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।