বিজয়নগরে চাল চুরির ঘটনায় বিপাকে অটোরিকশা চালক,নিরাপত্তা হীনতায় ৬ মেম্বার সহ কবি তাবরিজ সরকার বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২০ বিজয়নগর প্রতিনিধি : ব্রাহ্মবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে সরকারি ভাবে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি ধরে বিক্রির জন্য বরাদ্দকৃত চাল অন্য জায়গা নিয়ে যাওয়ার পথে ১৪ বস্তা চাল রাস্তার মধ্যে আটক করা অটোরিকশা চালক মামুন বিপাকে পরেছে। তার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন এই অটোরিকশাটি থানায় আটকা পরায় সে কর্মহীন হয়ে মানবতর দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া অটোরিকশাটি কবে ফেরত পাবে সেই অনিশ্চয়তায় সে ধারে ধারে ঘুরছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অটোরিকশা পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অটোরিকশা চালক বলেন, আমার কি দোষ আমারে ডিলার শাহিন মিয়া সে দিন ১৪ বস্তা চাল দিয়ে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার বাড়িতে পৌঁছে দিতে বললেন, তখন আমি অটোরিকশাতে ১৪ বস্তা চাল নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার সময় (১২ এপ্রিল) সকাল ১১ টার সময় উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুলালপুর হালিম চৌমুহনী এলাকায় রাস্তার মধ্যে কবি তাবরীজ সরকার ও দুজন মেম্বার এ চাল গুলো আটক করে। পরে পুলিশ এসে অটোরিকশা সহ আমারে থানায় নিয়ে যায় এবং সারাদিন থানায় আটক রেখে রাতের বেলায় অটোরিকশাটি রেখে আমায় ছেরে দেয় এখন অটোরিকশা ফেরত না পাওয়ায় আমি পরিবার নিয়ে বিপাকে পরেছি। এছাড়া কবি তাবরীজ সরকার সহ মেম্বাররা চাল আটকের বিষয় নিয়ে উতকন্টায় রয়েছে এবং নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। অন্যদিকে চাল চুরি সহ চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অপকর্মে বিচার চেয়েছেন পরিষদে ৬ জন মেম্বার এমন কি তারা পরিসদে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে পরিষদের ৬ জন মেম্বার, মোঃ হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া- ওয়ার্ড নং ৪, মোঃ আক্তার হোসেন- ওয়ার্ড নং ৫, মোঃ শফিকুল ইসলাম -ওয়ার্ড নং ৭, মোঃ হানিফ মিয়া -ওয়ার্ড নং ৮, মোঃ হারিছ মিয়া -ওয়ার্ড নং ৯, সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড মহিলা সদস্য আম্বিয়া বেগম বাদি হয়ে গত ১৫/১২/১৯ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৪৬.০০.১২০০.০১৭.২৭.০০৩.২০২০.৪৪ গত ০৯/০১/২০২০ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ করেন। পরবর্তীতে বেশ কয়েক মাস গত হয়ে গেলে তারা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কোন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি। পরবর্তীতে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ১৬/০৩/ ২০১৯ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবর আরো একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এছাড়া ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া- বাদী হয়ে গত ১৩/১২/১৯ ইং তারিখে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজয়নগর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেন। উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের কর্তৃক দায়েরকৃত চারটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছেন। Related posts:কুমিল্লায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়ীটি এখন ধ্বংসস্তূপর.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পীযূষ কান্তি আচার্য।বিজয়নগরে ৪০টি পরিবারের মাঝে এান সামগ্রী বিতরন Post Views: ৪৬৮ SHARES আইন-আদালত বিষয়: কবি তাবরীজ সরকারচাল আটকজামাল চেয়ারম্যানবিজয়নগরবিষ্ণুপুর ইউপিমেম্বার