টানা দরপতনের পর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২০০ এর বেশি প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি টাকার কিছু বেশি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী। তবে এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

এর আগে বুধবার পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে চলে আসে।

এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টাজুড়ে অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ১৬ মিনিটে ডিএসইতে ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৭টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।