বিজয়নগরে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ

প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর বাজারে এক প্রবাসী এই ঘরটি নির্মাণ করেছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, সম্প্রতি চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বাঁধাকে উপেক্ষা করে নূরপুর বাজারের পুরাতন ৩৩৩ দাগ ও নতুন ১৪৫/৪৬ খাস খতিয়ানের ভূমিটি জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেন। এতে করে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন তার দেখাদেখি অন্যান্যরাও বাজারে থাকা সরকারি খাস জায়গায় আরো দোকান নির্মাণ করবেন।

বুধবার বিকেলে ওই এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সরকারি ওই খাস জায়গায় একটি নতুন আধা-পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

নূরপুর বাজার পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খাঁন, বাজারের ব্যবসায়ি সোলায়মান মিয়া ও দুলাল মিয়া জানান, এই জায়গাটিতে গত পাঁচ বছর আগেও এখানে বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছিলো। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এসে ওই বিল্ডিং ভেঙে দিয়েছে। এখন আবার খাস জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, জানিনা বাজারে থাকা খাস জায়গা দখল করে কোন সময় কে দোকান নির্মাণ করে।

এ ব্যাপারে চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা রাসেল মাহমুদ জানান, ‘নূরপুর নতুন মৌজার ১৪৫/৪৬ নং খাস জায়গাটির মধ্যে দেয়াল দিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ না করা হয় সেজন্য তাদেরকে বলা হয়েছে। গত ২০ দিন আগে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও প্রবাসী আল-আমিন দোকানের নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আমি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্যারকে অবহিত করেছি।’

এ ব্যাপারে চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক হামদু জানান, জায়গাটি সরকারি খাস জায়গা। তাই আমি আল আমিনকে এখানে দোকার না করার কথা বলেছি। তিনি বলেন, সে যদি সরকার থেকে লীজ এনে দোকান নির্মান করে তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।

এ ব্যাপারে দোকার নির্মানকারী আল-আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করেনি। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লীজের জন্য আবেদন করেছি। যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আসফার সায়মা জানান, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কাজ চলমান থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম.ইয়াসির আরাফাত জানান, সরকারি কোনো নিয়মনীতির বাইরে কোনো কাজ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে অবৈধ নির্মান কাজ যেন বন্ধ করে দেয়া হয়। কেউ যদি জোরপূর্বক সরকারি জায়গায় দোকান নির্মান করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন জানান, সরকারী জায়গায় লিজ ব্যতিত কেউ নির্মাণ কাজ করতে পারবেনা। এ ব্যাপারে আমি খবর নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি