বিজয়নগরে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্দনে নারী নির্যাতনের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবী। বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০ বিজয়নগরে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্দনে নারী নির্যাতনের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবী। আজ ১২ অক্টোবর ২০২০ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির উদ্যোগে ধর্ষনে বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করার দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসরকের পাশে চান্দুরা ডাকবাংলোর চত্বরে বিক্ষোভ ও মানব মানববন্দন কর্মসূচি করা হয়েছে। উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রায় মোহন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারন সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পি, উপজেলা যুব মৈত্রীর আহ্বায়ক সঞ্জয় রায় পোদ্দার, জাতীয় কৃষক সমিতির নেতা আব্দুল আজিজ ও ইয়াকুব আলি, চান্দুরা ইউনিয়ন ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি দুলাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব দেব, রেজাউল আমিন, সন্তোস মোহন ঋষি, জেলা ছাত্র মৈত্রীর নেতা সানিউর রহমান, শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন প্রমুখ। মানববন্দনে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধীকে বাঁচাতে রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতা বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘ব্লেইম গেম’ ও ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার যে অপকৌশল আমরা লক্ষ্য করেছি তাও বন্ধ করতে হবে। সম্প্রতি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী স্বত:স্ফুর্ত প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়ে বক্তারা বলেছে, এটা স্বস্তির যে দেশের মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সরকারও ধর্ষণ আইনের পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কেবল আইন করে নয়, আইনের প্রয়োগ বিশেষ করে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তন এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আইনের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। আইনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধই ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ও অপরাধ বন্ধ করতে পারে। বক্তারা নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের জন্য সবাইকে বিশেষ করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, ধর্ষণ জাতীয় এ ধরনের সকল অপরাধ রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রস্তাবে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সম্পর্কে বলা হয়, এসিড নিক্ষেপজনিত সময়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে তদ্বিষয়ক আইনের পরিবর্তন ওই অপরাধ কমাতে সাহায্য করেছে ঠিকই, তবে সে ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা রেখেছে সামাজিক প্রতিরোধ। ধর্ষণের ক্ষেত্রে এই সামাজিক প্রতিরোধের উপরেই বক্তারা জোর দিয়ে বলেন এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা, পাঠ্যসূচি, চলাফেরা ও কার্য্যক্ষেত্রে নারীকে সম্মান করা ও তার অধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়টি সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কাজের মধ্যে সামনে আনতে হবে। Related posts:আখাউরা নৌকার মাঝি হলেন কাজলপীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরী এমপির শোকরাস্টু মিয়ার মা লাল চান বেগম মৃর্তুতে র আ ম উবাইদুল মোকতাদিরচৌধুরী এমপি র শোক প্রকাশ Post Views: ৫১৫ SHARES Uncategorized বিষয়: