১৯ নভেম্বর- মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯ বিজয়নগর নিউজ । ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর দিনব্যাপি যুদ্ধের পর মুকুন্দপুর স্টেসন ও মুকুন্দপুর গ্রাম পাক হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত হয়। কেমন ছিল সে দিন, সিলেটের সাথে যোগাযোগের ও সরবরাহ লাইনের গুরুত্বপূর্ন কৌশলগত পয়েন্ট মুকুন্দপুর রেল স্টেসন ও সংলগ্ন গ্রাম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে এস ফোর্সের অন্তর্গত ২ ইবিআর রেজিমেন্ট সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। মিত্রবাহিনী ১৮ রাজপুত ব্যাট এর সহায়তা নিয়ে চুড়ান্ত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায় আমাদের মুক্তি বাহিনী। পরিকলপ্না অনুযায় ১৮ নভেম্বর সন্ধার মধ্যেই ১৮ রাজপুত ব্যাট জলিলপুরে রেল লাইন ব্লক করে দেয়। ২ বেংগলের একটি অংশ কালঅছড়া নদীর দক্ষিনে অবস্থান নেয়। অবশিষ্ট ২ বেংগল সেকেন্ড লেফটেনেন্ট সাইদের নেতৃত্বে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মুকুন্দপুরে অনুপ্রবেশ করে পূর্বনির্ধারিত FUP অর্থাৎ মিলনস্থল মুকুন্দপুর এর পূর্বপ্রান্তে আক্রমন স্থলের ৫০০গজ দূঢ়ে সম্মিলিত হয় ও শেষ রাতে আক্রমন রচনা করে পাকবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধ গুড়িয়ে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় সম্পুর্ন দখল মুক্ত হয় মুকুন্দপুর। ৩১ জন পাক সেনাসদস্য, ২টি এলএমজি,২৯টি রাইফেল২টি স্টেনগান, ও ১টি ৩ইন্চি মর্টার ও বিপুল পরিমান রগুলাবারুদ এবং রসদ মুক্তিবাহিনী আটক করে। অপর দিকে মুক্তিবাহিনীর হতাহত প্রায় হয়নি বললেই চলে। তথ্য সূত্র: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবআবু সালেহ মুহাম্মদ নাসিম বীর বিক্রমের লেখা Bangladesh Fights For Independence গ্রন্থ। Related posts:বিজয়নগর বাউল সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মৃণাল চৌধুরীর মতবিনিময়পুলিশের কাজে বাধা এবং নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির নেতাদের কারাদণ্ডমুক্তিযুদ্ধকালিন আগরতলা শরনার্থী ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার চানু চন্দ্র দেব আর নেই…. Post Views: ৬৮১ SHARES জাতীয় বিষয়: