বিজয়নগর মুক্ত দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩

আজ ৬ ডিসেম্বর চান্দুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেদের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা শত্রু মুক্ত করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদার বাহিনীরা চান্দুরায় একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখানে বসেই পাকসেনারা বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় তারা নিয়ন্ত্রণ করতো। সেইসাথে রাতের আধাঁরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো মুক্তিকামী মানুষদের। ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর থেকে চান্দুরা ঘিরে ফেলে। তারপর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটির পতন ঘটায় এবং পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয় হাবিলদার রাকিব উদ্দিন ও মুজিবুর রহমান।এছাড়াও মুক্তিবাহিনীর হাতে নিহত হয় সাত পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য। ৬ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকেই জয় বাংলা ধ্বনিতে চান্দুরার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে তোলে মুক্তিকামী জনতা। ঝাঁকে ঝাঁকে মুক্তিকামী মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বেড়িয়ে আসে। হানাদারদের ঘাঁটিতে উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা।

এ দিবস উপলক্ষে আজ (৬ ডিসেম্বর ২০২৩) বুধবার সকালে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়। পরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মেহেদী হাসান খান শাওন এর সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দবীর আহমেদ ভূঞার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন – ক্যাপ্টেন (অব:) বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মলেন্দু সেনগুপ্ত (সেন), প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী (লিটন), ইউপি চেয়ারম্যান এ এম শামিউল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

পরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসির জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদ পেশ ইমাম মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।