স্মরনকালে এমন নির্বাচন মানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহন ছিলো অধ্যক্ষ ড. সাজু

প্রকাশিত: ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচনের কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ উঠার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তদন্তের ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন জয়ী আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু। তিনি বলেন-এরকম হলেতো ভোটের দিনই অন্য প্রার্থীরা অভিযোগ করতেন। তারাতো সেটি করেননি। আমি নিজেও জানিনা আসলে কি হয়েছে- না হয়েছে সেখানে। তবে এটি বলবো- স্মরনকালে এমন নির্বাচন হয়নি। এতে মানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহন ছিলো। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন ভোটের দিন। বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ছিলো। আমার ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন তারাওতো কেউ এমন বলেননি বা অভিযোগ করেননি, যে কেন্দ্রগুলোতে সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া এমন কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার নিজেরও জানা নেই,শুনিও নাই।
বুথে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান। তল্লা কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী হাসিবুর রহমান জানান-কোন অনিয়ম হয়েছে তা মনে হয়না।

বুথে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান। তল্লা কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী হাসিবুর রহমান জানান-কোন অনিয়ম হয়েছে তা মনে হয়না। 

তালশহর পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ভোট ২১৫০। এরমধ্যে কাষ্ট হয় ৫৮২ ভোট। যাতে কলারছড়ি পেয়েছে ২৫৫ আর নৌকা ৩১২ ভোট। যাত্রাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩৪৬০। এখানে নৌকা পেয়েছে ২১৪৫ আর কলারছড়ি ১২৮ ভোট। যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের মোট ভোট ৩২১০। এরমধ্যে নৌকা পেয়েছে ১৭১৬ ভোট। কলারছড়ি ৬৬। বড়তল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৯৩৯ ভোটের মধ্যে কাষ্ট হয় ৩৩৬৪ ভোট। এরমধ্যে নৌকা পেয়েছে ৩৩২৮ ভোট। আর কলারছড়ি পেয়েছে ২৪ ভোট। এখানে উল্লেখ্য যে-বড়তল্লায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাজুর বাড়ি। আর তার ভোট কেন্দ্র যাত্রাপুর নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা। সেই হিসেবে যাত্রাপুর ও বড়তল্লা কেন্দ্র তার নিজের এলাকাধীন। 
গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। এতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। ২৮ হাজার ৭৫৭ ভোট বেশী পেয়ে জয়ী হন সাজু। সুএ দৈনিক মানবজমিন