মৃনাল চৌধুরী লিটনের বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৩

আজ শুভ বিজয়া দশমী। বাঙালি হিন্দুদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবের সমাপনী দিবস। আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটবে। দেবী দুর্গা অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক। এ বিজয় অর্জিত হয় আদ্যাশক্তি মহামায়ার সক্রিয় ভূমিকায়। মাতৃরূপিণী মহাশক্তি দুর্গা অশুভ শক্তির কবল থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও ভক্তকুলকে রক্ষা করেন। এই অমিত চেতনার সঙ্গে আবহমান বাংলার লোকজ সংস্কৃতি যুক্ত হয়ে দেবী দুর্গাকে বাঙালি হিন্দুসমাজ ‘ঘরের মেয়ে’ হিসাবেই বরণ করে নেয়।

দুর্গাপূজার শুরু হয় মহালয়ায়। সেদিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এর ঠিক পাঁচদিন পর মহাষষ্ঠীতে বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ, সপ্তমীবিহিত পূজা। কদলীবৃক্ষসহ আটটি উদ্ভিদ ও জোড়াবেল একসঙ্গে বেঁধে শাড়ি পরিয়ে একটি বধূ আকৃতিবিশিষ্ট করে দেবীর পাশে স্থাপন করা হয়। এই হলো ‘নবপত্রিকা’, প্রচলিত ভাষায় যাকে ‘কলাবউ’ বলা হয়। মহাষ্টমীতে মহাষ্টম্যাদিকল্পারম্ভ, কেবল মহাষ্টমীকল্পারম্ভ, মহাষ্টমীবিহিত পূজা, বীরাষ্টমীব্রত, মহাষ্টমী ব্রতোপবাস, কুমারী পূজা, অর্ধরাত্রবিহিত পূজা, মহাপূজা ও মহোৎসবযাত্রা, সন্ধিপূজা ও বলিদান। মহানবমীতে কেবল মহানবমীকল্পারম্ভ, মহানবমী বিহিত পূজা। বিজয়া দশমীতে বিহিত বিসর্জনাঙ্গ পূজা, বিসর্জন, বিজয়া দশমী কৃত্য ও কুলাচার অনুসারে বিসর্জনান্তে অপরাজিতা পূজা। এই দশমী তিথি বিজয়া দশমী নামে খ্যাত। শুভ বিজয়া উপলক্ষে বিজয়নগর উপজেলাআওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রেসক্লাব বিজয়নগরের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মৃনাল চৌধুরীর লিটন হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন
দুর্গাপূজার সঙ্গে বাংলার প্রকৃতির রয়েছে নিগূঢ় সম্পর্ক। শরত-হেমন্তের শুভ্র কাশফুলের মতো মানব হৃদয়েও পুণ্যের শ্বেতশুভ্র পুষ্পরাশি প্রস্ফুটিত হোক। অসুরকে বধ ও অশুভকে বিনাশ করে মানব মনে সঞ্চারিত হোক শুভ চেতনা-এটাই বিজয়া দশমীর প্রত্যাশা।