ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী হবেন বিজয়নগরের অন্ধকারের আলোর নিশানা

প্রকাশিত: ১:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩

(মৃনাল চৌধুরী লিটন )

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ  রাজনীতির অহংকার, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনির একজন , পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ,  প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব

বিজয়নগর উপজেলার স্পপতি অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব  , নিরাপদ ব্রাক্ষণবাড়িয়ার প্রবর্তক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ,দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক ও বাহক, প্রগউতিশীল লেখক, , জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির অন্যতম সাবেক সদস্য, পর পর তিনবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোকতাদির চৌধুরী  ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে যিনি সপ্ন দেখেন,সেই সপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই তিতাসের প্রতিটি প্রান্তে ছুটে যান।গরিব দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল,আগামী নির্বাচনে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসন থেকে নৌকা মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেনl এই বিশাল নামের মতই এক বিশাল রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা তার পেছনে কাজ করছেl আজকের প্রজন্মের অনেকেই হয়তো বিষয়টি অবগত নয়l

তবে এতো বড় নামে তাকে কেউ সম্মোধন করে নাl ব্রাম্মণবাড়িয়া তথা সারা বাংলাদেশে তিনি রবিউল ভাই নামে পরিচিতl আসলে কে এই রবিউল মুক্তাদির চৌধুরী? তিনি কোথায় থেকে কেমন করে এলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে? তাহলে ফিরে যেতে হয় সেই ছাত্র রাজনীতির শুরুতেl

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ভাইয়ের বিশেষ ঘনিষ্ঠ সহচর মোকতাদির চৌধুরী ১৯৭০ সালে পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সব আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন সম্মুখভাগে ছিলেন। ১৯৬৯-৭০ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হনl মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে আহত হন মোকতাদির চৌধুরী,

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে মোকতাদির চৌধুরী ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হনl ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ বক্তা ও লেখকl 
লেখায় তার কলমের দক্ষতা অসীমl কীভাবে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে কী লিখতে হবে তার সবকিছুই ছিল তার নখদর্পনেl

এভাবেই ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের নেতা ও কর্মীদের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেনl শেখ কামাল  কাছেও ছিলেন অতি প্রিয় মানুষ্l  ফলে মোক্তাদির চৌধুরী র সাথে  যোগাযোগটা ছিল একটু বেশিl  সহযোগিতার হাত ছিল সবসময়l

১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করলে
l এই সময় জাতীয় ছাত্রলীগের ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের উপরে নেমে আসে এক বিশাল অন্ধকারl  ঢাকা শহর ছাত্রলীগের আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে   একটা বিরাট দায়িত্ব এসে পরেl এই দুঃসময়ে যারা জীবনের ঝুঁকি কি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে গোপন আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তারা হলেন  , রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, 

জেনারেল জিয়ার সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ঐসময় ছাত্রলীগের এই গোপন কর্মতৎপরতা চালানো এতো সহজ ব্যাপার ছিল নাl ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রবিউল মোকতাদির অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীদের নেতৃত্বে ৪ নভেম্বরের পঁচাত্তরের মৌন মিছিল সংগঠিত করা হয়েছিলl তাদের নেতৃত্বেই ঢাকায় শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিরোধ যুদ্ধ। সামরিক শাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা ৪ নভেম্বরের মৌন মিছিলকে সফল করে তোলার জন্য ঢাকা শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রচারপত্র বিলি করেl

এক সময় মিথ্যা অভিযোগে জেনারেল জিয়ার সামরিক সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেl পরে হাইকোর্টে রিট করে ১৯৭৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ছাত্রলীগকে সংগঠিত এবং আওয়ামী লীগকে পুনরোজ্জীবিত করতে কাজ শুরু করেন মোকতাদির চৌধুরী।  

পরে রবিউল ভাই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেও গোপনে রাজনৈতিক কার্যকলাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখেনl ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যার পাশে বিশ্বস্ততার সঙ্গে তিনি তার এই দায়িত্ব একটানা পাঁচ বৎসর পালন করেনl ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিটির সভাপতিl নবম জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে প্রথমবার বিজয়ী হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মুক্তাদির চৌধুরী এমপি ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করার কারণে বিশেষ করে বিজয়নগর উপজেলা স্থাপন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর এর সরাসরি সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা বাস্তবায়নের কারণে মুক্তাদির চৌধুরীর    প্রতিপক্ষরা দুর্বলl পর পর তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভাগ্যন্নোয়নে তিনি দিনরাত কাজ করেছেন। সদর ও বিজয়নগর উপজেলা এলাকায়।

এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্কুল কলেজের সম্প্রসারণ, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, নদী-খাল খনন, ওভারপাস নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। দুটি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎও নিশ্চিত করা হয়েছে। বেড়েছে শিক্ষার হার এবং জনগণ পেয়েছে উন্নত জীবনের ছোঁয়া।

শহরের যানজট নিরসনে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন ফ্লাইওভার বা ওভারপাস। খালপাড়ে সেতু নির্মাণসহ শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধণের জন্য নেওয়া হয়েছে নতুন নতুন পরিকল্পনা। প্রায় ৪০ কোটি টাকায় নির্মাণ হয়েছে ‘শেখ হাসিনা সড়ক’।

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর মধ্য গঙ্গার দুই পারের মানুষকে এক সুতোঁয় গেঁথেছে বহু আকাঙ্ক্ষিত ২৪ ফুট চওড়া ও নয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর প্রতিপক্ষরা এলাকাবাসীদের কাছে তেমন পরীক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে করছি। তাই এই উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে মোকতাদির চৌধুরী আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর আসনের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে হবে

বিজয়নগর উপজেলা একটি নবগঠিত উপজেলা এই উপজেলাকে একটি আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরিত করতে এবং বিজয়নগর মানুষের জীবনযাত্রা শিক্ষা দীক্ষা এগিয়ে নিতে প্রতিমাসে বিজয়নগর উপজেলায় কোন না কোন ইউনিয়নে আসেন এবং উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যান তাই বিজয়নগরবাসী তাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বিজয়নগরবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে দল মত নির্বিশেষে প্রত্যাশা করেন এবং বিজয়নগরবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী হবেন

বিজয়নগরের অন্ধকারের আলোর নিশানা