নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরীর শোক

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৩

স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘মত ও পথ’ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

বুধবার (২৯ মার্চ) এক শোকবার্তায় তিনি নূরে আলম সিদ্দিকীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।।

শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী স্মৃতিচারণা করে বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন এবং ’৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধিকার আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে তাঁর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করি। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোররাতে মারা যান নূরে আলম সিদ্দিকী। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ যে চার ছাত্র নেতাকে সে সময় ‘চার খলিফা’ হিসেবে অভিহিত করা হত তাদের অন্যতম ছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।

নূরে আলম সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৪০ সালের ২৬ মে ঝিনাইদহে। বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্বে উপস্থিত, সেই সময় ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

নূরে আলম সিদ্দিকী ছিলেন মুজিববাহিনীর অন্যতম সংগঠক। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।