হরষপুরে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিজয়নগর উপজেলা হরষপুর ইউনিয়নের বরচাল প্রভাতী কিন্ডারগার্ডেন এর উদ্যোগে মেধাবীদের পুরস্কার বিতরণ ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও হরযপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো কাউসার মেম্বার এর সভাপতিত্বে অসান উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিজয় নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক রাজীব চন্দ্র বনিক রাজু উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটন বিযেয অতিথি ছিলেন তিতাস বাণী পত্রিকার সৌদি আরবের ব্যুরোচীফ জহিরুল ইসলাম মন্জু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক হোসাইন আহমেদ দুলাল প্রমুখ উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাতী কিন্ডারগার্টেন পরিচালক মোঃ শাহ আলম সভায় বক্তারা বলেন
পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে পাক-ভারত উপমহাদেশের জনগণ পেয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত নামের দুইটি দেশ। পাকিস্তানিরা যখন বাঙালিদের নতুন করে শোষণ ও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বেঁধে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, ঠিক তখনই শতাব্দীর মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভু্যদয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ছাপ্পান্নর সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন, আটান্নর মার্শাল ল’বিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভু্যত্থানের পথ পেরিয়ে সত্তরের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সবই বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের মাইলফলক। পাকিস্তানি শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি সময় কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা, কয়েকবার ফাঁসির কাষ্ঠের মুখোমুখি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করার পরও এ দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আপসহীন নেতৃত্ব পরাধীন বাঙালি জাতিকে সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া তার বক্তব্য বাঙালিদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মরণপণ সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল। হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশনামূলক উদাত্ত আহ্বানে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে প্রত্যক্ষভাবে।

২৬ মার্চ ১৯৭১। মহান স্বাধীনতা দিবস। লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় দিবস। বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা ওড়ানো দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা করে। আর এই দিনেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল- তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার লক্ষ্যে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বিজয়ের লাল সূর্য। আমরা স্বাধীন হলাম। পেলাম স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ