বর্ণপ্রথা কে ভেঙে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন লেখক ভট্টাচার্য

প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বিয়ের পীড়িতে বসতে যাচ্ছেন। বিকেলে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশির ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আশীর্বাদের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। এতে দেখা যায়, মেয়ে পক্ষ লেখক ভট্টাচার্যকে আশীর্বাদ করছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে তাঁর বাসায় দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়। আশীর্বাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।‘কনের নাম দীপা বিশ্বাস। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।’

বিয়ের দিনক্ষণ জানতে চাইলে বেনজির হোসেন নিশি বলেন, ‘আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে লেখক ভট্টাচার্যের বিয়ে সম্পন্ন হবে। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি হবে গায়ে হলুদ। আগামী ১ মার্চ তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হবে।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের প্রণয় কে পরিণতি দিলেন লেখক ভট্টাচার্য ও দিপা বিশ্বাস। তারা সনাতনধর্মের প্রধান সমস্যা কুসংস্কার, জাতেপাত এবং বিভেদের উর্ধ্বে উঠে ভালবাসার মানুষটাকে নিজের করে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব সময় জাত পাত বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলি এবং এর বাস্তব প্রতিফলন সমাজে এখন দেখা যাচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সচেতন হচ্ছে এবং নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে ছেলে মেয়ে যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা বা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পরস্পরের উপযুক্ত হয় তাহলে চার হাত এক হয়। তরুণ প্রজন্ম অনেকাংশে কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসছে।

লেখক ভট্টাচার্য জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ হলে ও কর্মসূত্রে একজন ক্ষত্রিয় যেহেতু রাজনীতির ময়দানে একজন আদর্শ সৈনিক। আবার (দিপা বিশ্বাস) একজন নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যিনি নিজের বিশ্বাস ও অদ্যম পরিশ্রমের পর বর্ণপ্রথা কে ভেঙে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা জাতপাত বিরোধী আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে এবং ভবিষ্যতে জাতপাত ও বর্ণ বৈষম্যের অভিশাপ থেকে সনাতনী সমাজ মুক্তি পাবে। ।