ত্রিপুরায় আগামীকাল বিধানসভা নির্বাচন

প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩

ত্রিপুরায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচন। প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। আজ বুধবার সব দলের প্রার্থীরাই নিজ নিজ এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিভৃত বৈঠকে ব্যস্ত। কীভাবে বুথে বুথে ভোট পরিচালনা করা হবে, তা নিয়েই চলছে লম্বা বৈঠক।

ত্রিপুরায় ৩ হাজার ৩৩৭টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। আর ভোটার সংখ্যা ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৪।

রাজ্যে মোট ৬০ আসনে নির্বাচন হবে। সব দল ও নির্দলীয় মিলিয়ে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৫৯। এর মধ্যে বিজেপি ৫৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তাদের জোটসঙ্গী তফসিলি উপজাতি দল ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা প্রার্থী দিয়েছে বাকি ৫ আসনে। অপর উপজাতীয় দল তিপ্রা মথা প্রার্থী দিয়েছে ৪২ আসনে।

আসন সমঝোতা করে নির্বাচন লড়ছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়েছে ৪৭ আসনে এবং সমর্থন করছে একজন নির্দলীয় প্রার্থীকে। কংগ্রেস ১৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ২৮ আসনে।

রাজ্যে ২৫৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন বা ১৬ শতাংশের নামে ফৌজদারি (ক্রিমিনাল) মামলা রয়েছে। বিজেপির ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের (১৬ শতাংশ) নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, কংগ্রেসে ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন, অর্থাৎ ৫৪ শতাংশের নামে মামলা রয়েছে এবং সিপিআইএম দলে ৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের (৩০ শতাংশ) নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে একটি সর্বভারতীয় নির্বাচনী স্বচ্ছতা বিষয়ক নাগরিক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস জানিয়েছে।

ছোটখাটো সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে
নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের ভেতরে আসাম এবং মিজোরামের সঙ্গে ত্রিপুরার সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য প্রচার চালাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

মোটামুটিভাবে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৫০। তার সঙ্গে রয়েছে আরও ২০ হাজার রাজ্য পুলিশ ও রাজ্যের আধা সামরিক বাহিনী ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস।

এরপরও বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যেমন গতকাল ধর্মনগর অঞ্চলে নিজের দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হন রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী বর্ণালী গোস্বামী। তাঁর দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি নিজেই গতকাল জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া সিপিআইএম দলের এক কর্মী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন। সিপিআইএম সমর্থকের নাম আজাদ মিয়া। এ ঘটনায় কিছু দুষ্কৃতের নাম সামনে এসেছে। চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রে সংঘর্ষ হয়েছে তিপ্রা মথা ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।

রাজ্যে ৮৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে যে। এ জন্য চারজনের বেশি মানুষ এক জায়গায় জমায়েত করতে পারবেন না। এখন পর্যন্ত অবস্থা মোটামুটি শান্তিপূর্ণ।