সরাইলে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সেক্রেটারির নামে ছাগল চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার এক ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সেক্রেটারির নামে ছাগল চুরির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সরাইল) আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড রাজাপুর) বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

একই গ্রামের বাসিন্দা মো. খেলু মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া বাদি হয়ে ৫টি ছাগল চুরি করে নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মুজিবুর রহমান ছাড়াও আরও অজ্ঞাত ২/৩জনকে আসামী করা হয়েছে।

আদালতে দাখিল করা মামলার এজহারে বলা হয়, গত ১৫ অক্টোবর মধ্যরাতে অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হারুন মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে ৫টি ছাগল চুরি হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর হারুন মিয়া প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বের হয়। এসময় গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন তার ৫টি ছাগল চুরি হয়ে গেছে। যার প্রতিটির মূল্য আনুমানিক ১৬ হাজার টাকা করে। পর তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা জমায়েত হয়। পরদিন হারুন মিয়া স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন, মুজিবুর রহমান তার সহযোগীদের নিয়ে ছাগল গুলো চুরি করেন। চুরি করা ছাগল গুলো পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নৌকা যোগে নিয়ে বিক্রয় করেছেন। এরআগেও আসামী মুজিবুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় চুরির অপরাধে আটক হয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়।

বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক জানান, গত ১৮ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করলে মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর ২০২২ এর মধ্যে সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এখন বিএনপি’র সেক্রেটারি পদে নাই। আমার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করেছে। আমি এধরণের কোন ঘটনায় জড়িত নই।’

সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, ‘আদালতের কোন কাগজ এখনো থানায় এসে পৌঁছেনি। কাগজ হাতে পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো।’