মৃনাল চৌধুরী লিটনের শারদীয় শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ১১:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠন সম্পাদক সাপ্তাহিক তিতাস বাণী পত্রিকার সম্পাদক মৃণাল চৌধুরী লিটন আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে লক্ষ্যে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তিনি বলেন, এ বানীর প্রতিটি অক্ষরকে কাজে লাগিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জ্বিবিত হয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গাপূজা উৎসবমূখর পরিবেশে পালন করার ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে

তিনি বলেন, বাঙালী জাতির হাজার বছরের ঐতিহ্য কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে ধারন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে গড়তে হবে সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক চেতনায়। আমরা বাঙালী এ বাক্যকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এদেশের প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম কর্ম পালন করবে এবং অশুভ শক্তির মোকাবেলা করবে। যারা এই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আঘাত আনতে চায় তারা যেমন চায় না দেশের স্বাধীনতা তেমনি তারা চায় না আগামীর সুন্দর বাংলাএছাড়াও তিনি বলেন, রাজা রামচন্দ্র রাম রাবনের যুদ্ধের সময় শরৎকালে এই দূর্গা পূঁজা করেছিলেন। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে শরৎকালে দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন। তাই এই সময়টি তাদের পূজার যথাযথ সময় নয়। অকালের পূজা বলে এই পূজার নাম অকাল বোধন। রামচন্দ্রকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা দূর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন।

তিনি বলেন, এবার এই শারদীয় সার্বজনীন দূর্গোৎসবের মাধ্যমেই ঘরে ঘরে অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত হয়ে সকল অশুভ শক্তি পরাভূত হয়ে হবে সুন্দর ও সাম্যের আবির্ভাব। ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী অন্দোলনের সময় দূর্গা পূজা শুরু হয়, মূলত দেবী দূর্গাকে মাথায় রেখেই দেশ মাতা বা ভারত মাতা বা মাতৃভূমির জাতীয়তাবাদী ধারনা বিপ্লবের আকার নেয়। তাইতো দেবী দূর্গার ভাবনা থেকেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বন্দে মাতরম গানটি রচনা করেন যা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র।

ম বলেন, আমরা আশা করি সার্বজনীন এই শারদীয় দূর্গোৎসবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিরন্তন সত্য ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই বানীকে হৃদয়ে ধারন করে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ করে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সকল মানুষ আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্টিত করবেন।