ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ‘রক্তের আখরে’ লেখা : মোকতাদির চৌধুরী

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২২

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, সেটা রক্তের আখরে লেখা। সাম্প্রদায়িকতার সাথে এই সম্পর্কের কোনো যোগসূত্র নেই। আন্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সাথে যে সম্পর্ক সেটার সাথেও সাম্প্রদায়িকতাকে কোনোভাবে জড়ানো যায় না। সুতরাং সাম্প্রদায়িকতা ও দুটি দেশের সম্পর্ককে একাকার করা পঙ্গু মস্তিষ্কের বহিঃপ্রকাশ।

গতকাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা অনেক বড় একটি অপশক্তি। এটি মানুষকে নানাভাবে পরিচালিত করতে পারে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যে সম্পর্ক চলমান, সেটি হলো কৃতজ্ঞতার সম্পর্ক ।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ বাংলাদেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিলো, তারা কেউ জানতো না কখন আমরা ফেরত আসবো, তারপরও তারা শুধু আমাদের আশ্রয়ই দেয়নি, তাদের খাবারও আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলো; সেই কথা কী আমরা ভুলে যেতে পারি?

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ভারতের জনগণের সাথে এদেশের জনগণের সম্পর্কের বিষয়ে খুবই সচেতন ছিলেন। আর সেজন্যই নয়াদিল্লির বিগ্রেড ময়দানে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর উপস্থিতি মঞ্চে দাড়িয়ে ভারতের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। তিনি ভারতের জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্কের বিষয়টি খুব ভালোভাবে বুঝতেন বলেই প্রথম সাক্ষাতে মিসেস গান্ধীকে বলেছিলেন, আপনি ভারতীয় সৈন্য কবে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করবেন। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল ভারতীয় সৈন্য এ দেশ থেকে প্রত্যাহার করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোচনা করতে আসলে সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি এক নম্বরে আসবে। তিনি সম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে বলেছেন ‘সাম্প্রদায়িকতা যদি নির্মূল না করা যায় তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন।’ সুতরাং এটি নির্মূল করা না গেলে সামনের দিকে এগুনো যাবে না।

মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি মানবিক দেশ গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেটি করে যেতে পারেননি। ৭৫-এ আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি কাটিয়ে উঠতে আমাদের অনেক সময় লাগবে। যে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ে সেটিকে অনুসরণ করবে সে সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, ছাত্রলীগের ৮০% নেতাকর্মী এই বইটি পড়েনি। আওয়ামী লীগ যারা করেন তারা কেউই হয়তো বইটি খোলেও দেখেননি। তাহলে আমরা কাদেরকে নিয়ে এগিয়ে যাবো? কিভাবে জানব বঙ্গবন্ধুর দর্শন? সুএ মত ও পথ