ঐতিহাসিক ২৩ মার্চ ১৯৭১

প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২২

ঐতিহাসিক ২৩ মার্চ ১৯৭১
.
আজ জন্ম নিল এক নুতন পতাকা- আয়তাকার গাঢ় সবুজ জমিনের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত নিয়ে একটি পতাকা, যার লাল বৃত্তে বসানো আছে বাংলাদেশের স্বর্ণালী মানচিত্র। এটি সমসাময়িক বিভিন্ন জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী পতাকাগুলোর সামগ্রিক তালিকায় নব সংযোজন। এই পতাকাটি “স্বাধীন বাংলাদেশ” এর জন্য। সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর মুক্তিকে প্রতীকী রূপ দান করে পতাকাটি।
.
সারা বাংলাদেশে তেইশে মার্চ পাকিস্তানী পতাকা ওড়েনি। শুধু সামরিক ছাউনিতে উড্ডীন ছিল ঐ পতাকা। আর সর্বত্র উড়েছে বাংলাদেশের পতাকা ও কালো পতাকা।
..
স্বাধীন বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবানক্রমে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও সোভিয়েত কনস্যূলেটে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
.
পাকিস্তান সরকারের ২৩শে মার্চের পাকিস্তান দিবসের কর্মসূচী অনুযায়ী ঢাকাস্থ চীনা, ইরানী, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালী দূতাবাসে পাকিস্তানী পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।পরে ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও জনতা এসব দূতাবাস গিয়ে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে দেয়।
.
মার্কিন দূতাবাস এদিন বিতর্ক এড়াবার নামে কোন পতাকাই উত্তোলন করেনি।
.
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন বলে এইদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রকাশ করে।
.
ছবিঃ ঢাকা আউটার স্টেডিয়ামে জয়বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতা (বাঁ দিক থেকে) আবদুল কুদুস মাখন, আ স ম আবদুর রব, নূরে আলম সিদ্দকী ও সাজাহান সিরাজ। ছাত্রলীগ নেতা হাসানুল হক ইনু স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করছেন এবং জয়বাংলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার কামরুল আলম খান খসরু ‘গান ফায়ার করে স্বাধীনতার ‘এক দফাকে সামনে এনে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন।