ইতিহাসে ১৯৭১সাল২১শে মার্চে

প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২২

সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সম্পাদনায় ১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক হিসেবে যাত্রা শুরুর পর থেকে ইত্তেফাক হয়ে ওঠে গণমানুষের মুখপত্র।  বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে আপসহীনভাবে সত্য প্রকাশ করে গেছে ইত্তেফাক। পত্রিকাটির এই ভূমিকা উপমহাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়।
স্বাধীনতার মাস অগ্নিঝরা মার্চে দৈনিক ইত্তেফাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৭১ সালের ২১ মার্চ প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় প্রধান খবরের শিরোনাম ছিল, ‘মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনার অগ্রগতি’। দেশের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সংকট নিরসনের পথে ইয়াহিয়া-মুজিব আলোচনার চতুর্থ অধিবেশন ছিল ২০ মার্চ। এদিনের আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানায় ইত্তেফাক। সোয়া দুই ঘণ্টার আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দলের ছয়জন শীর্ষস্থানীয় সহকর্মী ছিলেন। আর প্রেসিডেন্টের পক্ষে ছিলেন তিনজন। আশা করা হচ্ছে, ২২ মার্চ ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠকের পঞ্চম এবং সম্ভবত চূড়ান্ত অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৭১ সালের ২১ মার্চ ইত্তেফাকের প্রথম দুই কলামে বক্স করে ছাপা হয় জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আহ্বান, ‘শান্তিপূর্ণ সুশৃঙ্খল নিয়মে আন্দোলন চালাইয়া যান’ শিরোনামের প্রতিবেদন। এর সঙ্গে ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের একটি স্থিরচিত্র। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসাধারণ সারাবিশ্বের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের অন্তর জয় করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে একটি অনুপ্রেরণাদায়ী দেশ হিসেবে পরিগণিত। মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।