যাবজ্জীবনের সাজায় ৫ বছর আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা হয়নি,গ্রেফতার সাবেক চেয়ারম্যান বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২২ সোমবার বিকেলে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি র্যাব জানায়, ২০০৯ সালে তৎকালীন সময়ে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন হুমায়ূন কবির। চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির স্থানীয় কুড়িঘর বাজারের মালিকানাধীন ভূমি ভরাট করে সেখানে ৬৪টি ভিটি তৈরী করেন। ওই ভিটি ভূমি বিক্রয় করে বিক্রয়লদ্ধ টাকা আত্মসাৎকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে শক্রতা চলে আসছিল।২০০৯ সালের অক্টোবরের ২৭ তারিখ জিল্লুর রহমান বাজার করার জন্য কুড়িঘর বাজারে গেলে পূর্ব শক্রতার জের ধরে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে তাকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এতে জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিল্লুর রহমানের ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২০১৭ সালের মে মাসে হুমায়ূন কবিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। রায়ের পর পলাতক থাকে সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। অবশেষে রায়ের প্রায় ৫ বছর পর আজ সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের,পিপিএম জানান, হত্যাকাণ্ডের রায়ের পর হুমায়ূন কবির আত্মগোপনে চলে যায়। সে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইব্রাহীমপুর গ্রামে জায়গা জমি কিনে বাড়ি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যায়। সেখানে সে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার চেষ্টা করেন। তার ভাইকেও সেখানে জায়গা কিনে বাড়ি করেছে। তার বড় ছেলেকে সেখানে বিয়ে করিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। Related posts:নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে গঠিত মুখার্জী কমিশনের প্রধান বিচারপতি মনোজ কুমার মু...ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তশহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দও Post Views: ১৭৫ SHARES আইন-আদালত বিষয়: