৩রা মার্চ ১৯৭১: ইয়াহিয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্বাধীনতার ইশতেহার বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২২ বিজয়নগর নিউজ। ৩ মার্চ ১৯৭১ সাল। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় পার্লামেন্টারি পার্টিগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠক ডাকলেন। কিন্তু বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়ার সেই বৈঠক ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলেন। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘জনতার ওপর গুলিবর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো আলোচনায় বসবেন না।’ নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত হরতাল পালনের আহ্বান জানালেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদিন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পল্টনে বিশাল জনসভা আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও উপস্থিতিতে সেখানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ অনুষ্ঠানটি ছিল আমাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য দিন। এছাড়া উত্তাল মার্চের ৩ তারিখ বাংলার মাটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়। বাঙালি অবাঙালি সংঘর্ষে চট্টগ্রামে নিহত হন ১২০ জন। আহত হন ৩৩৫ জন। এদের বেশিরভাগই পাক সেনাদের গুলিতে ৭১ নিহত হন। বাঙালি নিধনের এই ঘটনায় সারাদেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। Related posts:আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি সম্পন্নসোমবারের জে এস সি পরীক্ষাও স্থগিতব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীর প্রতি আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন Post Views: ১০৯ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: