মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১তম জন্ম বার্ষিকী পালন বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২১ মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১২ ডিসেম্বর ১৪১তম জন্মবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মাওলানা ভাসানীকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার অব্যাহত। কিন্তু মাওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লেখা অসম্ভব। বক্তারা আরও বলেন,মাওলানা ভাসানী কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করলেও তাদের মুক্তি ঘটেনি আজও। তাই স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাওলানা ভাসানী প্রাসঙ্গিক। মওলানা ভাসানীর স্বপ্ন,শোষণহীন অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে বাম প্রগতিশীল শক্তিকে আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নাই। সভা থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাস্ট্রীয়ভাবে পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন পাঠ্য পুস্তকে তার জীবনী সন্নিবেশনের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, আসামে বাঙালী কৃষকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার মাওলানা ভাসানী পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলন,পাকিস্তানের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,স্বায়ত্বশাসন এবং স্বাধীন ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন,আইয়ূবের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন,ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন ,একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন, ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ সহ সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রসারণবাদ বিরোধী আন্দোলন, যাবতীয় জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রামে আজীবন আপোষহীন ভূমিকা পালন করেছেন। কোন রক্তচক্ষুকে পরোয়া করেননি কখনো। কোন প্রকার ক্ষমতা কিংবা পদপদবীর লোভের মোহ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি যা বর্তমানের রাজনীতিকদের জন্য অনুসরনীয় হতে পারে । ভাসানী চর্চা কেন্দ্র,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে এবং অ্যাডভোকেট মো. নাসিরের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মাওলানা ভাসানীর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা করেন, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোৎ নাগ,জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বর্দ্ধন, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সভাপতি হুমায়ুন কবীর, জেলা ঐক্য ন্যাপের সহ-সভাপতি কানুলাল মজুমদার,সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম নাঈম, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, জেলা কৃষক-খেত মজুর সমিতির সভাপতি আবদুস সোবহান মাখন,জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,জেলা যুবজোটের আহবায়ক সিদ্দিক আহমেদ নাসির,জেলা ছাত্রমৈত্রীর নেতা মহুয়ী শারদ প্রমুখ । Related posts:বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ বন্ধ, চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের নির্দেশপ্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সীমান্ত হত্যা নদী ও বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছেকসবায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অর্ন্ত:সও্বার মামলায় এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার Post Views: ২৩৪ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: