টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ওমানকে হারিয়ে টিকে রইলো বাংলাদেশ বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২১ কী ভয়টাই না পাইয়ে দিয়েছিলেন শুরুর দিকে বোলাররা। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা রান নেবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাসকিন আর মোস্তাফিজ মিলে ২ ওভারেই দিলেন ৯টি অতিরিক্ত রান। মোস্তাফিজ এক ওভারেই করলেন ৫টি ওয়াইড। মাহমুদউল্লাহ ছাড়লেন ক্যাচ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলটিকে মনে হচ্ছিল কেমন যেন খুব অচেনা। তবে সেই অচেনা ভাব কাটিয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নেয়নি টাইগাররা। সাইফউদ্দিন, সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদী হাসান বোলিংয়ে আসতেই দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে যায়। ওমানের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিমিষেই নিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন বোলাররা এবং সব ভয় আর আতঙ্ককে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে এনে দিলেন ২৬ রানের অসাধারণ এক জয়। এই জয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকলো বাংলাদেশ। ১৫৪ রানের লক্ষ্য। আগের ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির ছুঁড়ে দেয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছিল ওমান। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে লক্ষ্যটা একটু বেশি, এই যা। প্রথম ওভারে তাসকিন যেভাবে উদার হস্তে ওয়াইড, লেগবাই রান দেয়া শুরু করেছিলেন, তাতে শঙ্কা জেগেছিল বৈকি। কিন্তু না, সেই শঙ্কা নিমিষে দূর করে দেয়ার চেষ্টা করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ে অবশ্য প্রথম বলটাই দিয়েছিলেন ওয়াইড। পরের বলেই এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিলেন। রিভিউ নিলেন ওমানের ব্যাটার আকিব ইলিয়াস। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মোস্তাফিজের মত বোলার ওই ওভারেই দিলেন ৫টি ওয়াইড। সম্প্রতি আইপিএল খেলে এসে ওমানের মত দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা এতটাই প্যানিকড হয়ে গিয়েছিল যে, তাতে ওয়াইডের মেলা বসিয়ে ফেলেছিল। পুরো চার ওভারে মোস্তাফিজ ওয়াইড দিয়েছেন মোট ৮টি। স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর দলের ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা কতটা দূর্বল হয়েছে, তা বোঝা গেছে এই ওমানের বিপক্ষে ম্যাচেই। ব্যাটিংয়ে নাইম শেখ আর সাকিব কিছুটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। মানসিক দৃঢ়তাই দেখা যায়নি। ফিল্ডিংয়েও একই অবস্থা। যাচ্ছেতাই অবস্থা শুরু থেকে। প্রথম ১০ ওভারেই ওমান রান তুলে ফেলেছিল ৬৯। জয়ের লাগাম পুরোপুরি তাদের হাতে ধরা। এমন সময়ই কৃপণতা শুরু করেন শেখ মেহেদী। সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব আল হাসান। মোস্তাফিজ রান দিলেও উইকেট নেয়া অব্যাহত রাখলেন। সাকিবও তার সঙ্গে জুটি বাধেন। ওমানের ১০৫ রানের মাথায় তো পরপর দুই বলে দুটি উইকেট নিয়ে নিলেন সাকিব। তাতেই ম্যাচ চলে আসে হাতের মুঠোয়। ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ওমান ব্যাট করতে নামার পর প্রথম ওভারেই তাসকিন দিয়েছিল ৪টি অতিরিক্ত রান। পরের ওভারে মোস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে ৫ ওয়াইডসহ দিলেন মোট ১২ রান। সাকিব আর সাইফউদ্দিনকে দিয়ে এই ওয়াইডের বন্যা কিছুটা থামিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬ষ্ঠ ওভারে আবারও মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনেন অধিনায়ক রিয়াদ। ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন জতিন্দর সিং। বল উপরে উঠে যায়। বোলারসহ তিন-চারজন ছিলেন, যারা সেটা ধরতে পারতেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ এক্সট্রা কভার থেকে দৌড়ে এসে তা ধরতে গেলেন। ততক্ষণে বল পড়ে গেলো হাতের ফাঁক গলে। এক বল পরেই ছক্কা। এরপর মোস্তাফিজের বল থেকে আর বাঁচতে পারলেন না কাস্যপ প্রজাপতি। নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। ১৮ বলে করলেন ২১ রান। শুরুতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। এরপর শেখ মেহেদী এবং সাকিব আল হাসান এসে রানের চাকার কিছুটা লাগাম টেনে ধরতে পেরেছেন। যদিও একটি-দুটি আলগা বল দিয়ে মার খেয়েছেন সাকিব। তবে ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মেহেদী। ১২তম ওভারে তার বলে ক্যাচ তুলে দেন মাকসুদ। সেই ক্যাচ ধরেন মোস্তাফিজ। ১৩তম ওভারের শেষ বলে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। বিধ্বংসী হয়ে ওঠা জতিন্দর সিংকে ফেরান সাকিব। ক্যাচ ধরেন লিটন। ৩৩ বলে ৪০ রান করেন তিনি। Related posts:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ শীর্ষ ১৪নেতার বিরুদ্ধে এমপি’র মামলাঅনুমোদনহীন ৫৯ আইপি টিভি বন্ধ করল বিটিআরসিমসজিদের ভেতরে রাখা জুতার বাক্সে মিলল নবজাতক Post Views: ২৫৬ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: