স্বাধীনতা সংগ্রামী ইলা সেন
বিজয়নগর
নিউজ
স্বাধীনতা সংগ্রামী
ইলা সেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী। ইলা সেন ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তার পিতৃভূমি ছিল বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপরের সোনা রং গ্রামে। তার পিতার নাম ছিল ডাক্তার ব্রজেন্দ্রনাথ সেন ও মাতার নাম ছিল সুরবালা সেন। পিতা ফেডারেটেভ মালয় স্টেটস এর ডাক্তার ছিলেন এবং সেখানেই তারা বসবাস করেন। ১৯২৫ সালে তিনি কলেজ থেকে এই.এ পাশ করেন এরপর ১৯২৭ সালে বি.এ পড়ার জন্য বেথুন কলেজে ভর্তি হন। ইলা সেন অসহযোগ ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের যোগ দেন।
ইলা সেন ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনৈতিক মনস্ক ছিলেন। ১৯২৯ সালে কল্যাণী দাসের ছাত্রী সংঘে যোগ দেন। ১৯৩০ সালে 'নারী সত্যাগ্রহ' আন্দোলনে যোগ দিয়ে চার মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনে সৈন্য যোগদানের জন্য প্রচারণা চালান। ১৯৩০ সালে আবারও জেলে সতীন সেন ও প্রভৃতি রাজনৈতিক বন্দীদের ওপর পুলিশ কমিশনার টেগার্ট এর প্রহরের প্রতিবাদে ইলা সেন জেলে অনশন অবলম্বন করেন।। ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত ইলা সেন ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে আই.এ ও বি.এ পাশ করেন।
ইলা সেন ১৯৩৭ সালে গৌহাটির নরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৪৫ সালে 'আল ইন্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্সে' যোগ দেন এবং দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সমাজ সেবা ও বিপ্লবী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দেন এবং ছাত্রদের ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তারপর ১৯৪৬ সালে কলকাতার দাঙ্গার সময় দাঙ্গাপিড়িতদের উদ্ধার ও সাহায্য দিতে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৮ সালে দিল্লিতে চলে যান। শেষে বিপ্লবী কন্যা ইলা সেন ২১ মার্চ ১৯৪৮ মৃত্যুবরণ করেন।
( তথ্যসূত্র সংগৃহীত )