ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সংখ্যালঘু মৎসজীবি সমিতির কাছে লাখ টাকা চাঁদা দাবী : আতঙ্কে জেলেরা

প্রকাশিত: ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নে সংখ্যালঘু মৎসজীবি সমিতির কাছে লাখ টাকা চাঁদা দাবী, দাবি পূরণ না করায় সমিতির ইজারাকৃত বিলে জেলেদের কাজে যেতে বাধা প্রদান করার অভিযােগ পাওয়া যায়। এতে আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় দিনযাপন করছেন সমিতির সদস্য  সংখ্যালঘু জেলে পরিবার গুলো।

জানা যায়,বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের তুলাতলা গ্রামে জেলে পরিবারের সম্মিলিত‘সপ্তডিংগা সমবায় সমিতি লিঃ’ মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে উপজেলার বাকজোর কুলিয়ার খাল (মেঘনা-নৈর্ঘন্দা) জলমহালটি গত ২৮ জুন ২০২০ সালে এক আদেশে উক্ত সমিতির নামে ১৪২৭-১৪২৯ বাংলা সন পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য লিজ প্রদান করেন। উক্ত লিজ গ্রহন করে ১৪২৭ বাংলা
সনে নির্বিঘ্নে সবাই মিলে মাছ চাষ করলেও ১৪২৮ বাংলা সনে এসে একই ইউনিয়নের আড়িয়াল গ্রামের মৃত মুতি মিয়ার ছেলে দানা মিয়া (৫০), সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৬),মৃত লাল মিয়ার ছেলে কাজী জাকির হােসেন (৩৯),মৃত হাজী সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৩৭) ও মৃত কাছু মিয়ার ছেলে ওহাব মিয়া (৩৫) তাদের অনুসারীদের নিয়ে উক্ত সমিতির কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবি পূরণ না করায় এই সংখ্যালঘু মৎস্যজীবী  সমিতির সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে রাস্তাঘাটে নানাহ হুমকী ও ভয়ভীতি দেখান এমনকি তাদের সমিতির নামে ইজারাকৃত বিলে মাছ চাষে বাঁধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে সমিতির সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা ও ইজারাকৃত বিলে মাছ চাষের নিরাপত্তা চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাস বাদী হয়ে একটি সি,আর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং – ৪১০/২০। এই মামলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জেলে পরিবার গুলাে সকল সদস্যদের উপর প্রাণনাশের হুমকী, ভয়ভীতি
মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায় । উক্ত মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক
বাবুল দাস বলেন, কিছু দাঙ্গাবাজ লােকদের হুমকী, ভয়ভীতি কারণে
আমরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছিনা। আমাদের লিজকৃত বিলে যেতেও তারা বাধা প্রদান করে। আমরা জেলে সম্প্রদায় এখন আতঙ্কে দিনযাপন করছি।

বিজয়নগর থানার স্মারক নং-উঃজেঃ/স্বাঃ/কমঃ/সাপা/ অফিসার ইনচার্জ মির্জা মােহাম্মদ হাছান বলেন, বিলের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মহোদয় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমাধানের চেষ্টা করছে। বর্তমানে এলাকায় কোন সমস্যা নেই।