২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২১

বিজয়নগর নিউজ ডেস্ক : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে সেখানে তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। এই উপলক্ষে বিজয়নগর শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দও ও ভূপেষ চৌধুরী গন গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে বিকাল চার টায় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দও ও ভূপেষ চৌধুরী গণ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো: জসীম উদ্দিন, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা পরিযদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না,আলোচক হিসাবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মির্জা হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হোসাইন আহমেদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি ম.প.স.তাবরীজ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আইনুল ইসলাম ডালিম, কার্তিক চৌধুরী, ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: ইসহাক সরকার, সাধারন সম্পাদক হাজী নুরুল আমীন, অগ্রনী ব্যাংক সিবিএ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল সভাপতি মো: আবুল মোবারক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মুখলেসুর রহমান লিটন, উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক নির্মল সুএধর, ইছাপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাস্টু মিয়া,ইছাপুরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাংবাদিক সারোয়ার হাজারী পলাশ, সিংগারবিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো: সোহেল, উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগ নেতা ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নেতা মো আসলাম, জেলা ছাএলীগ সাবেক নেতা কাজী আশিক,বিজয়নগর উপজেলা ছাএলীগ সিনিয়র সহ সভাপতি মো: এমদাদ সাগর,সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শিব্বির আহমেদ,অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা ছাএলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম হানিফ, এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো: রেজাউল আমীন,সহকারী শিক্ষক পিন্টু মালাকার সহ গ্রন্থাগারের সদস্য বৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন ২০০৪ সালের এই দিনে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা এবং আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।’
এ সময় খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের দেয়া বক্তব্যগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্তারা বলেন,গ্রেনেড হামলার কয়দিন আগেই খালেদা জিয়া এবং বিএনপি সিনিয়র নেতারা বলেছিলেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবে দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ আগামী একশত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল তাদের পূর্ব পরিকল্পনা। উক্ত অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আশরাফুল আলম।