শুধু খুলনায় নয় সারাদেশে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে মোকতাদির চৌধুরীর মত নেতা প্রয়োজন বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ১:২৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২১ মৃনাল চৌধুরী লিটন বাংলাদেশে যে-কোনো ধরনের টানাপোড়নের প্রথম শিকার হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়৷ এর কারণ কি? সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অন্যতম হাতিয়ার৷ এটি সবচেয়ে বড় কারণ৷ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো হীনস্বার্থ উদ্ধারের জন্য, সংখ্যালঘুদের সহায় সম্পত্তি লুটপাট ও ভোগ-দখল করার জন্য, সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়া করার জন্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক অজুহাতে সংখ্যালঘুদের উপর বিভিন্ন সময়ে নির্মম নির্যাতন, অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ সহ অনেক মানবতাবিরোধী কাজ করে থাকে৷ এটা এতটাই নির্মম, পাশবিক, হৃদয় বিদারক ও মর্মস্পর্শী যে, তখন আর কিছুতেই মানুষ হিসেবে দাবি করা যায় না, বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র৷”খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এর শিয়ালী গ্রামে মল্লিকপাড়ায় হিন্দুদের উপর হামলা। আজ ৭ আগস্ট ২০২১ রোজ শনিবার বিকাল ৩টায় চাঁদপুর, বামনডাঙ্গা, শেখপুড়া, আনন্দ নগড় এর মুসলিম সন্ত্রাসী বাহিনীর ৩০০ থেকে ৪০০জন এই হামলা চালায়। এতে ৫০ থেকে ৬০টি বাড়ি লুট ও ভাংচুর করে নিঃস্ব করে দিয়েছে। সেখানে শিয়ালী পূর্বপাড়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দির, শিয়ালী পূর্বপাড়া সর্বজনীন কালী মন্দির, শিয়ালী পূর্বপাড়া সর্বজনীন কৃষ্ণ মন্দির, শিয়ালী গোয়াড়া মহাশশ্বান কালী মন্দির, শিয়ালী পূর্বপাড়া সর্বজনীন হরি মন্দির ও পারিবারিক মন্দির সহ ৮ থেকে ১০ টি মন্দির ভাংচুর করে । আশপশের প্রতিটি বাড়ির প্রতীমা/বিগ্রহ ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে, নিপুন ধরের বাড়ীর মন্দির, প্রতীমা/বিগ্রহ ভেঙ্গে চৌচির করে দেয় এবং যাওয়ার সময় নিপুন ধরের বাড়ীর স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা পয়সা লুটপাটসহ প্রায় ১২/১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিকরে ভয়ভীতি দেখিয়ে যায়, সর্বমোট ৯ বাড়ীতে একসাথে হামলা চালায় স্বাধীনতার পরে এটাই বড় বর্বরোচিত হামলা। গ্রামবাসি এক হয়ে হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে শিয়ালী ক্যাম্পের পুলিশ গ্রামবাসীকে আটকে দেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর বাড়িঘরে হামলা লুটপাট, অগ্নি সংযোগসহ ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন ও জাতীয় সংসদ নিরব ভুমিকা পালন করছে। নানা অযুহাতে বছরের পর বছর হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত আছে। গত কয়েক বছর যাবৎ একের পর এক হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, মঠ মন্দির বাুড়ঘরে হামলা, লুঠপাঠে ব্যপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ বরাবরই অন্য দল বা গোষ্ঠীর উপর দায় চাপিয়ে নিজেদের কর্মীদের রক্ষা করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়ীয়াচট্টগ্রামের হাট হাজারী, সাতক্ষীরাসহ কোন অপরাধেরই বিচার সরকার করেনি। ফলে একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে। জঙ্গী হামলার পর থেকে গ্রামে পুজা পার্বন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হিন্দু সম্প্রদায় নিরবে দেশত্যাগ করছে। দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। সরকারী দলের সম্পৃক্ততা আর সরকারের নির্লিপ্ততা প্রমান করে সরকার এদেশ থেকে হিন্দু শুন্য করতে উঠে পড়ে লেগেছে।এক বছরে সারা দেশে ৬৮৩টি ঘটনায় ৩১,৫০৫ জন ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । এর মধ্যে ১০৮ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪২ জন। প্রতিমা ভাংচুর, বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, জমি দখল, ধর্মান্তর, ডাকাতি ও দেশত্যাগে বাধ্যকরাসহ বাদ্য করা হয় বিগত এক বছরে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন দলীয় নেতাকর্মীসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থক দ্বারা এবং প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে হামলা লুটপাটসহ ৬৮৩টি ঘটনা ঘটে। ৯৫০৭ দশমিক ২২ একর ভূমি জবর দখল হয়েছে। ১০৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।৩৭৮টি পরিবারকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ছিল ২২৬১টি পরিবার। ৭৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে ও ৪৩৪টি পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। । মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন হিন্দু রাজাকার ছিলো না।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে পরিবার ও মন্দির লুট হয়েছে ২৭৭টি, বসত বাড়িতে হামলা হয়েছে ৩৮৭টি, অগ্নিসংযোগ করা হয় ৯২টি বাড়িতে, দেশত্যাগের হুমকি পেয়েছে ৬৪১টি পরিবার, জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও ধর্মান্তরের চেষ্টা হয়েছে ১৪৮টি, অপহরণের শিকার হয়েছেণ ৭৬ জন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ২৪৬টি।, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিন্দুদের উপর ব্যাপক নির্যাতন হয়েছে। তৎকালীন ক্ষমতাশীন সরকার কোন বিচার করে নাই। বর্তমান আওয়ামী সরকার সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনা বিশ্বব্যাপী প্রচার করে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা লাভ করছে। হিন্দুদের উপর নির্যাতনকারী করো বিচার আজও হয়নি। আজ আমরা হতাশার মাঝে অবস্থান করছি। বিচার না হওয়ায় বার বার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর স্ট্রিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে নিরবে প্রতিদিনই হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করছে। প্রশাসনেও হিন্দু বিদ্বেষ চরম আকারে। প্রতিনিয়ত হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলেও আজ পর্যন্ত কটুক্তির অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। উপরন্তু ফেসবুক হ্যাক করে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে শতাধিক হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ইসলামীকরণ করছে।নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী সাওতাল পাড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে হামলা লুঠপাট, মঠ মন্দির প্রতিমা ভাংচুর, ধর্ষন, অগ্নি সংযোগ করে কিন্তু কোনটারই বিচার হয় নিযে সমস্ত এলাকায় গ্যাস সমস্ত এলাকায় সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো ঘটেছে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো ঘটেছে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো ঘটেছে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা নীরব ভূমিকা পালন করেছে নতুবা আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেছে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেছে সাম্প্রদায়িক ব্যাকটেরিয়ার সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি তাই তাই দেশে একের পর এক হিন্দু নির্যাতিত হচ্ছে মন্দির ভাঙছে মন্দির ভাঙছে সম্প্রতি গত মার্চ মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে তান্ডব সৃস্টি করে আনন্দময়ী কালীবাড়ি সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দও দত্ত ভাষা চত্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেএই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নিজের জীবন বাজি রেখে অসাম্প্রদায়িক ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ার লক্ষ্যে একাই রুখে দাঁড়ান তাণ্ডবের বিরুদ্ধে এবং হেফাজতিদের আইনিভাবে মোকাবেলা করতে না পারলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষদের নিয়ে রাজপথে মোকাবেলা করেন এবং ধ্বংস কৃত কালিবাড়ি রেল স্টেশন সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন এবং ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বর সংস্কার করেছেন মুক্তাদির চৌধুরী রুখে দাঁড়ানোর জন্য মুক্তাদির চৌধুরী রুখে দাঁড়ানোর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে এসেছে ফিরে এসেছেতাই বলতে হচ্ছে খুলনায় যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর থেকে আরম্ভ করে মন্দির যেভাবে ধ্বংস করেছে তা থেকে রক্ষা করতে হলে এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মতো একজন অসাম্প্রদায়িক প্রয়োজন তাহলে তা তাহলে খুলনা হিন্দুদের মনে যে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে সেই ভয় কাটিয়ে আবার নতুনভাবে বসবাস করতে পারবে Related posts:আমরা মারামারি বা সন্ত্রাসীতে বিশ্বাসী নই বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম পিবিজয়নগরে মাদক ব্যাবসার হাট পর্ব ১সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ারের মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরীর শোক Post Views: ৩৮৩ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: