সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২১ মহামারিরে কারণে ১৭ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আপাতত এ পরিকল্পনা থেকে বাদ রাখা হয়েছে; যদিও নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাও সরকারের রয়েছে। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এ পরিকল্পনার বাইরে রাখার পেছনে যুক্তি হলো- চলতি শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও অর্ধ বার্ষিক, বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় এই বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে অবশ্য দুবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা করেও শেষ পর্যন্ত সরে আসতে হয়েছে সরকারকে। ফলে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার বিষয়ে আগাম ও আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। তবে যতদূর সম্ভব শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের করোনার টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত এই টিকাপ্রদানের ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব পরিকল্পনা নির্ভর করছে আগামী এক মাসে কত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা যায় তার ওপর। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো আগে নেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে দুদিন পরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বস্তরের শিক্ষকদের টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে টাইমলাইন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজও চলছে জোরেশোরে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, সরকারি পর্যায়ের প্রায় শতভাগ শিক্ষকই টিকা নিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন লাখ ৬৩ হাজার ২২২ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জন। বাকি আছেন প্রায় ৮৪ হাজার জন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই সব শিক্ষকই টিকা নিয়ে নেবেন আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৬১ শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৯১৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ছয় হাজার ৭২ জন। সরকার মূলত চাইছে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে আটকে থাকা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো আগে শেষ করা। এরপর আটকে থাকা স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার দিকে এগুতে চায় সরকার। এরপর কলেজ ও তারপর বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তা রয়েছে সরকারের। সম্প্রতি শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের একটি অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। করোনার এখন যে সংক্রমণ চলছে সেটা কমে এলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা স্কুলগুলো খুলে দিতে চাই। সরাসরি ক্লাস শুরু করা খুব দরকার। স্কুল খুলে দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা বেশিরভাগই টিকা নিয়েছেন। Related posts:প্রথম কণ্ঠ নিজজ পোর্টালএ প্রকাশিত সংবাদ এর নিন্দা ওপ্রতিবাদপুকুর পাড়ে মাটি ফেলা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্য নিহত১০ বছরেও পাইলট প্রস্তুত করতে পারেনি বিমান Post Views: ২৩২ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: