কিংবদন্তি বাঙালী রাজনীতিবিদ জ্যোতি বসুর ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২১

” কিংবদন্তি বাঙালী রাজনীতিবিদ
জ্যোতি বসুর উপাখ্যান “

       উপমহাদেশের প্রখ্যাত বামপন্থী রাজনীতিবিদ, ভারতের প্রখ্যাত বামনেতা ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৪ সালের ৮ জুলাই কলকাতার এক অভিজাত পরিবারে জন্ম হয় জ্যোতি বসু্র। 

       বিশ শতকের ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী  চরিত্র হলেন জ্যোতি বসু। একটানা কয়েক দশক ধরে তাঁর রাজনৈতিক কর্মপ্রবাহ কেবল ভারতীয় রাজনীতিতেই একটা মাত্রা যোগ করেনি, দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বামপন্থী চেতনার বিকাশে তার অবদান ঐতিহাসিক। বলা যায় জওহরলাল নেহেরুর পর ভারতে জ্যোতি বসুর মতো যথার্থ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিক আর কেউ ছিলেন না। সুবিধাবাদের আশ্রয় নেয়া কিম্বা  নিজের দলকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার তাগিদে জ্যোতি বসু তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করেননি।

       জ্যোতি বসু্র পুরো নাম জ্যোতিরিন্দ্র বসু; ডাকনাম ছিল গনা। তাঁর বাবা নিশিকান্ত বসু ছিলেন পেশায় হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম হেমলতা বসু। বড় কাকা নিলীনকান্ত বসু ছিলেন পেশায় হাইকোটের বিচারক। জ্যোতি বসুর পৈতৃক ভিটে বা আদি বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ায়। জ্যোতি বসু বাংলাদেশে’র পৈতৃক গ্রামে যৌথ পরিবারে সবার সান্নিধ্যেই ছোট্ট বেলা কাটিয়েছেন। বাবা মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ সন্তান।

        অভিজাত স্কুলে জ্যোতিকে ভর্তি করাতে তাঁর বাবা পরিবার নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর পিতামাতা তৎকালীন ওল্ড হিন্দুস্তান বিল্ডিং-এর (বর্তমান ফুটনানি চেম্বার) একটি ভাড়াবাড়িতে উঠেন। ১৯২০ সালে ছয় বছর বয়সে জ্যোতি বসুকে কলকাতা ধর্মতলার লরেটো কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে ভর্তি করানো হয়। এই স্কুলে তিন বছর পড়াশোনার পর তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভর্তি হন। এরপরে হিন্দু কলেজ থেকে ১৯৩৫ সালে ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ পাস করার পর তিনি লন্ডন পাড়ি দেন আইন পড়ার উদ্দেশ্যে। ১৯৪০ সালে লন্ডনের মিডল টেম্পল থেকে ব্যারিস্টার হন।

      মূলত লন্ডনে পড়াশোনার সময়েই জ্যোতি বসুর মধ্যে রাজনৈতিক অনুপ্রেরণার সৃষ্টি হয়। আইন পড়ার পাশাপাশি লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সে গিয়ে তিনি নানা বিষয়ের উপর ভাষণ শুনতেন। লন্ডনের লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সে ‘হ্যারল্ড লাস্কির’ বক্তৃতা শুনে জ্যোতি বসু বেশ প্রভাবিত হয়েছিলেন। ১৯৩৭ সালে লন্ডনে পড়াশোনা’র সময় তিনি ইন্ডিয়ান লিগ ছাত্র সংগঠন ও বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করেন এবং একজন ভারতীয় যুব কমিউনিস্ট হিসাবে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন। এসময় জ্যোতি বসু গ্রেট ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টি’র সাথে পরিচিত হন। ১৯৩৮ সালে জ্যোতি বসু লন্ডনের মজলিশে’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যুক্ত হন। এসময় তিনি ভারতীয় নেতাদের অভ্যর্থনার মাধ্যমে নেহেরু, নেতাজি, বিজয় লক্ষ্মী পণ্ডিত সহ প্রখ্যাত নেতাদের সাথে পরিচিতি ও তাঁদের বক্তৃতা, জ্যোতি বাবুকে ভারতীয় রাজনীতিতে যোগ দেবার জন্য যথেষ্ট উৎসাহিত করেছিল।

      ১৯৪০ সালে লন্ডন থেকে ফিরে জ্যোতি বসু কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসাবে নিজের নাম নথিভুক্ত করলেও সেই কাজে তাঁর মন সায় দেয়নি। তিনি রাজনৈতিক কাজে সিপিআই দলে সর্বক্ষণের কর্মী হিসাবে নিজেকে নিযুক্ত করেন। এই বছরেই তিনি বিয়ে করেন। পরিবারের সায় ছাড়াই তিনি সাম্যবাদী আন্দোলনে যোগ দেন। কমিউনিস্ট পার্টিকে ব্রিটিশ সরকার অবৈধ ঘোষণা করলে জ্যোতি বসু অনেক কমিউনিস্ট নেতাদের ব্রিটিশ পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করেন ও তাঁদের গুপ্ত স্থানে লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেন। শ্রমিক আন্দোলনে’র সাথে যুক্ত হয়ে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কাজ শুরু করেছিলেন।

      ১৯৪১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের  সময়ে তিনি রেলের শ্রমিকদের হয়ে কাজ করা শুরু করেন। পরের বছর জ্যোতি বসুকে বাংলা আসাম রেল শ্রমিকদের সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। তিনি শ্রমিকদের প্রাপ্য আদায়ের জন্য তাদের সাথে কথা বলা, বস্তিতে ঘুরে বেড়ানো, তাঁদের কষ্ট উপলদ্ধি করে কাজ করতেন।

        ১৯৪৩ সালে শ্রমিকদের খাদ্য সঙ্কট দেখা দিলে এই দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দিতে তিনি খাদ্য আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে জ্যোতি বসুকে অভিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৪৫-৪৭ সালে তেভাগা আন্দোলনেও জ্যোতি বসুর অবদান যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ। 

        দেশভাগের পর স্বাধীন ভারতে ১৯৫২ সালের বিধানসভা ভোটে বরানগর থেকে জ্যোতি বসু জয়ী হন এবং ড. বিধানচন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বে তিনি হন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা। ১৯৫৩-৫৪ সালে ষষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলনে পার্টির রাজ্য কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। কংগ্রেস এই সময় পশ্চিমবঙ্গে  বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৪৭ বলবৎ করলে তিনি এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।

       কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ১৯৪৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে। ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ জ্যোতি বসুকে গ্রেপ্তার করে তিন মাস কারারুদ্ধ করা হয়। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জ্যোতি বসু আবার শ্রমিকদের হয়ে কাজ শুরু করেন। এই সময়ে জ্যোতিবাবুকে অনেক বার গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কয়েক বার জেলবন্দি হবার পর জ্যোতিবাবু রাস্তায়  ছদ্মবেশে বের হতেন।  ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলে নানা ঘটনার পর কমিউনিস্টদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। 

        ১৯৬৪ সালে প্রবল মতাদর্শগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করল সিপিআই(এম)। সেই লড়াইয়ের অন্যতম ছিলেন জ্যোতি বসু। ১৯৬৭ সালে তৈরি হলো প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকার। জ্যোতি বসু হলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনের ঢেউ সারা বাংলা জুড়ে। ১৯৭৭ সালে গণ-আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বামফ্রন্ট সরকারের আর্বিভাব। সাতগাছিয়ায় কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিধানসভায় ফিরে এসে জ্যোতি বসু হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে শুরু হয়েছিল জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক জীবনের নতুন এক অধ্যায়।

       ব্যারিস্টার জ্যোতি বসু থেকে কমরেড জ্যোতি বসু দলের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। প্রথম দিকে তাঁর স্বল্প বেতনের অর্ধেক টাকা পার্টি ফান্ডে দান করতেন। দলের হয়ে তিনি সারাজীবন কাজ করে গেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পেরিয়ে ১৯৭৭ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী প্রায় ২৪ বছর তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করে অবসর নেন বসু। ১৯৬৪ থেকে ২০০৮ সাল অবধি তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন। 

         পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেও দীর্ঘকাল ধরে সর্বভারতীয় স্তরে যে কোনও সমস্যায় তাঁর মতামত বিশেষ গুরুত্ব পেত। এক আদর্শ রাজনীতিক, নিলোর্ভ এবং দলীয় কমান্ডে বিশ্বাসী জ্যোতি বসুকে ১৯৯৬ সালে  প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করা হলেও পার্টির সিদ্ধান্তে তিনি এই পদ প্রত্যাখ্যান করেন। ২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন প্রদান করতে চাইলে তিনি তা গ্রহণে অসম্মত হন। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জ্যোতি বসুকে সম্মানসূচক ডি. লিট. সম্মান প্রদান করে। 

        এই মহান বাঙালী রাজনীতিবিদ জ্যোতি বসু ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। সেইসঙ্গে পরিসমাপ্তি ঘটে ইতিহাসের একটি কালপর্বের। তিনি তাঁর দেহ দান করে গেছেন মেডিক্যাল কলেজের গবেষণায়। বাংলাদেশে জ্যোতি বসুর একটি পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার বাড়িটিকে পাঠাগারে রূপান্তরিত করেছেন।  

      মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জ্যোতি বসুর শাসনকাল সাফল্য ও ব্যর্থতায় মিশ্রিত। বলা হয়েছে, তাঁর আমলে পশ্চিমবঙ্গে স্থিতাবস্থা বিরাজ করলেও তেমন কোনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেনি। এই কিংবদন্তি রাজনীতিবিদেরও নানা সমালোচনা পিছু ছাড়েনি! জানা যায় -  ১৯৭৯ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশ থেকে নানা কারণে বেশ কয়েক হাজার অসহায় বাঙালী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। তারা প্রশাসনিক ও দলীয় সমর্থকদের চাপে সাধারন লোকালয়ে আশ্রয় পেতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে সুন্দরবনের মরিচঝাপী নামক দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পালিয়ে আসা এই উদ্বাস্তুদের অধিকাংশই ছিলেন নিম্নবর্ণের হিন্দু। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই উদ্বাস্তুদের কোন দায়িত্ব নেয়নি। উপরন্তু তাঁদের সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। 

       এর কয়েকদিন পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ একাধিক লঞ্চ বোটে করে সেখানে হাজির হয়ে সমগ্র দ্বীপটি পুরোপুরিভাবে ঘিরে রাখলো। ফলে দ্বীপের আনুমানিক ৪০ হাজার মানুষের খাদ্য ঔষধ পাওয়ার কোন উপায়ই আর ছিলো না। ১৯৭৯ সালের ৩১ জানুয়ারি সকালে পুলিশ ক্ষুধার্ত উদ্বাস্তুদের ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে। নির্বিচারে গুলি করে খালি করা হয় মরিচঝাপীর সেই দ্বীপ। যারা পালিয়ে কিম্বা জঙ্গলে আত্মগোপনে ছিলেন; পর্যায়ক্রমে তাদেরকেও হত্যা করে ও তাদের আশ্রয়স্থল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃশেষ করা হয়। কেউ জানেনা ঠিক কতজন মানুষ সেই হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। কেননা পশ্চিমবঙ্গ সরকার মৃতের সংখ্যার উপর আলোকপাত করেননি। ইতিহাসে এটি মরিচঝাপী নৃশংস হত্যাকান্ড হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।   

       জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের বিদায় এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম-শাসন শেষ হওয়ার মাত্র ১০ বছর পরে বামেদের এমন পরিস্থিতি হবে; সেটা সম্ভবত কেউই ভাবতেই পারেননি। ২০২১ সালের জোট ও ভোটের ফল খারাপ হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চললেও এত তাড়াতাড়ি বাম বিধায়ক-হীন বিধানসভা দেখার কথা হয়তো কেউই ভাবেননি।

       কী ভাবে এই বিপর্যয়কে দেখছেন বাম নেতারা? সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি নেতা এবং বিধানসভায় বামফ্রন্টের প্রাক্তনেরা অনেকেই হতাশার সুরে বলছেন -, “সত্যিই আজ আমাদের পরিতাপের দিন! কারণ ১৯৪৬ সালের পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বামেদের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই! এক সময় এই মানুষই আমাদের একক ভাবে ১৮৭ আসনে জিতিয়েছিল। সেই মানুষই আমাদের আজ শূন্য করে দিয়েছে!” মানুষের রায় মাথা পেতে নিতেই হবে।

      বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী, উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নক্ষত্র ছিলেন জ্যোতি বসু। কমিউনিস্ট হয়ে যাওয়া ব্যরিস্টার জ্যোতি বসু একসময় ট্রামে, বাসে, রাস্তায় পার্টির পত্রিকা বিক্রি করেছেন! রেলওয়ে শ্রমিকদের সংগঠিত করতে নানা জায়গায় ঘুরেছেন, শ্রমিক বস্তিতেও থেকেছেন। এইভাবে তিনি নিজেকে শ্রেণীচ্যুত করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই এক টানা ৩৪ বছর উড়েছে বামেদের পতাকা ৷ ভারতের দীর্ঘতম মেয়াদের এই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর স্মৃতির প্রতি তাই গভীর শ্রদ্ধা। 

© হারুন-অর-রশীদ।
(Source – sabbanglay, Ananda Bazar, BBC, The Daily Star, জ্যোতি বসু : অনুমোদিত জীবনী- সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায়,১৯৯৭, “জ্যোতি বসু: বর্ণময় ৯৬ বছর”, সংবাদ প্রতিদিন, Wikipedia)