হেফাজতের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোকতাদির চৌধুরীর মামলা

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাজিদুর রহমান ও সদস্য মোবারক উল্লাহসহ ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আশরাফুল হাসান তপু, বোরহান উদ্দিন কাশেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এরশাদুল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ কাশেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিবী, মমিনুল হাসান তাজ, সোলেমান মোল্লা, এনামুল হক, খালেদ মোশাররফ, মো. জোবায়ের আহমদ, শাহরিয়ার আহমদ, হোসাইন আহমদ, মিজানুর রহমান সোহাগ ও মোহাম্মদ কাওছার।

এছাড়াও মামলায় দেড় শতাধিক হেফাজত নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা সরকারি বেসরকারি ৫৭টি প্রতিষ্ঠানে হামলার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল ভাঙচুর করে। পরে ৩১ মার্চ আসামিরা সংবাদ সম্মেলর করে এসব তাণ্ডবের জন্য বাদীকে দায়ী করেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামলার বাদীকে নিয়ে আসামিরা কুৎসা রটিয়েছেন। এ জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫,২৭,২৮,২৯,৩১ এবং ৩৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে হেফাজতের ব্যানারে মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই দিন বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে হামলা চালিয়ে জাতির জনকের ম্যুরাল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশসুপারের বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, জেলা সিভিল সার্জনের অফিসসহ ভাংচুরসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।এ ছাড়াও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থকরা শহীদ ধীরেন্দ্রসনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, সুর সম্রাট স্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীরেত পরিণত করে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।