ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্র মৈত্রী’র মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২১

শিক্ষাখাতে বাজেটের ২৫% , জিডিপির ৮% বরাদ্দ ও প্রাইভেট ভার্সিটির উপর ১৫% ভ্যাট বাতিলের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্র মৈত্রী’র মানববন্ধন

২০২১-২২ অর্থবছরের শিক্ষা বিরোধী ও শিক্ষাকে পণ্য এবং শিক্ষার্থীদেরকে ভোক্তা বানানোর বাজেটকে প্রত্যাহার করে শিক্ষাখাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ, জিডিপির ৮ শতাংশ ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিলের দাবিতে আজ রবিবার সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা ছাত্র মৈত্রী’র সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমানের পরিচালনায় মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাড.কমরেড কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ খান, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অ্যাড.মোঃ নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুব মৈত্রী’র সদস্য সচিব কমরেড ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রী’র কার্যাকরী সদস্য মুহয়ী শারদ, তানিয়া সুলতানা ঊষা,আয়াসুল ইসলাম আসিফ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রূপম ধর, মেহেদী, হোসাইন ইসলাম জয় প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন,শিক্ষা কোন পন্য নয়, শিক্ষা আমার অধিকার,এই অধিকার সবার চাই।শিক্ষার বানিজ্যকীকরন বন্ধ করতে হবে।বাজেটে শিক্ষা খাতে ২৫শতাংশ ভ্যাট বরাদ্দ করতে হবে,এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।
এছাড়া জাতীয় বাজেটে ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবী জানান।

এছাড়া বক্তারা আরো বলেন এই শিক্ষা ব্যাবস্থায় টাকা যার শিক্ষা তার নীতি” অনুসরণ করা হয়েছে। “২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বেড়েছে অনেক। কিন্তু একই সাথে বেড়েছে আয় এবং ব্যয়ের অসংগতি।পথ তৈরী হয়েছে আরো বেশী ধনী-গরীবের ব্যবধানের।
করোনা মোকাবেলার কথা বলা হলেও বাস্তবে এটি গতানুগতিক ধারারই বাজেট।
করোনার কারনে দেশের শিক্ষা অন্যতম বিপর্যস্ত খাত। প্রায় ১৬ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে শিক্ষা ব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশের বহু শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধনী-গরীবের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ পদক্ষেপ প্রয়োজন। কিন্তু বাজেটে এর কোন প্রতিফলন নেই। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়েছে মোট বাজেটের ১১.৯২ শতাংশ, যা জিডিপির ২.০৮ ভাগ। গত বছর এই বরাদ্দ ছিল যথাক্রমে ১১.৬৯ শতাংশ ও ২.০৯ ভাগ।

অথচ আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি মোট বাজেটের ২৫% ও জিডিপির ৮% বরাদ্দের কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই দাবি তো মানা হচ্ছেই না বরং দিন দিন শিক্ষাকে সরাসরি পণ্য বানিয়ে ফেলেছে।