ভৈরবের ২৩০ বস্তা ধান কসবা থেকে উদ্ধার ॥ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২১

কসবা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাঠেরপুল খাদ্য গুদামে অবৈধভাবে অন্য জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করার সময় শনিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় ২৩০ বস্তা ধান ও একটি বড় ট্রাক জব্দ উপজেলা প্রশাসন।এ সময় পুলিশ কুটি কাঠেরপুল খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ও ট্রাক চালক সৈকত (২২)সহ দুইজন আটক করেছে। এ ঘটনায় কুটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. উজ্জল মিয়া বাদী হয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলায় এ বছর এক হাজার ৮৫৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার কথা রয়েছে। ধান সংগ্রহের নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে লটারীর মাধ্যমে কৃষকের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। ওই কৃষকদের কাছ থেকে এ বছর এক হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ধান ক্রয় করবে সরকার। কসবার কুটি কাঠেরপুল খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশ করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ না করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ধান কিনেছেন। শনিবার দুপুরে কুটি কাঠেরপুল খাদ্য গুদামে বড় একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-২০-৬১৩৪) দিয়ে ২৩০ বস্তা ধান নিয়ে আসলে শ্রমিকরা খাদ্য গুদামে ৭৫ বস্তা ধান তুলে রাখেন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনাটি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান। তিনি ট্রাকটিতে থাকা আরো ১৫৫ বস্তা ধানসহ ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন ও ট্রাক চালক আশুগঞ্জের চরচারতলা এলাকার সৈকত মিয়াকে আটক করেছে। আটককৃতরা থানা হাজতে রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, লটারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করা কৃষকদের কাছ থেকেই ধান সংগ্রহ করতে হবে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলার ধান সংগ্রহ করা যাবে না। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে আনা একটি বড় ট্রাক ২৩০ বস্তা ধান কসবার কাঠেরপুল খাদ্য গুদামে সংগ্রহ করার সময় জনতা ট্রাকটিকে আটক করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়ায় খাদ্য গুদামের ওসি, ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, অবৈধভাবে ধান সংগ্রহ করায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চালকসহ বেশ কয়েজনকে আসামী করে কসবার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. উজ্জ্বল মিয়া বাদী হয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন।