নিজের গ্রামেই নৈতিক হার নাড়ুর, এগিয়ে তৃণমূল

প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২১

বিজয়নগর নিউজ। ডেস্ক: দুশো অনেক দূরে, একুশে শাহ-মোদীর বাংলা জয়ের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাংলায় BJP-র রাশ যাঁর হাতে রয়েছে সেই দিলীপ ঘোষের নিজের গ্রামের মানুষই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের থেকে। দিলীপ ঘোষ স্বয়ং যে বুথে ভোট দিয়েছিল সেই বুথেই পিছিয়ে BJP। রাজ্য BJP সভাপতির গ্রামেই কেন দলের এই বেহাল দশা তা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামের গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ ঘোষ। গ্রামের মানুষ তাঁকে চেনে নাড়ু হিসেবেই,রাজ্য BJP সভাপতির ডাক নামে। বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দুলাল মর্মু ২২ হাজার ৬৩৭ ভোটে হারিয়েছেন BJP প্রার্থী বকুল মুর্মুকে। একুশের নির্বাচনে কুলিয়ানা জুনিয়র হাইস্কুলের ১১৮ নম্বর বুথে ভোট দিয়েছিলেন দিলীপ ওরফে নাড়ু। তিনি যে বুথে ভোট দিয়েছিলেন সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৫৫ টি ভোট, BJP পেয়েছে ১৮২টি ভোট এবং CPM-এর ঝুলিতে গেছে ৬০টি ভোট।এছাড়াও কুলিয়ানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৭ নম্বর বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৩২৬টি ভোট, BJP পেয়েছে ২৫৩ ভোট এবং CPM পেয়েছে ২৩টি ভোট। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের গ্রামেই তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে BJP। কিন্তু কয়েক বছর আগেও ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে BJP ঝড়ের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও একুশের নির্বাচনে বদলে গিয়েছে সব হিসেব। কিন্তু গ্রামের ছেলে দিলীপ ওরফে নাড়ুকে কেন প্রত্যাখান করল সাধারণ মানুষ? গ্রামের এক বাসিন্দার কথায়, ‘যিনি বলেন গোরুর দুধে সোনা পাওয়া যায় তিনি যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয় তাহলে গোটা রাজ্যটাই অচল হয়ে যাবে। আমরা দিলীপ ঘোষের কথায় গুরুত্ব দিইনি।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট গ্রামের BJP প্রার্থীকেই জয়ী করেছিলেন গ্রামবাসী। ২০১৬ সালেও দুলাল মুর্মুর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়েছিলেন বকুল মুর্মু। কিন্তু সেবারেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল BJP প্রার্থীকে।এদিকে সোমবার দিলীপ ঘোষের গ্রামেই সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এদিকে রাজ্য BJP সভাপতির গ্রামে দলের এই ভরাডুবি নিয়ে কী বলছে BJP? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব জানায়, কেন এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে।