তান্ডবে অংশ নেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়ার মাদরাসার ২০ছাত্র বহিষ্কার

প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার ২০জন ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা সচিব মুফতী শামসুল হক সরাইলী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।

বহিষ্কার হওয়া ছাত্ররা হলেন, আশেক এলাহী, মিজবাহ উদ্দিন, আবু হানিফ, আশরাফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, মকবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোবারক উল্লাহ, বুরহান উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আফজাল, জুবায়ের, জুবায়ের, হিজবুল্লাহ রাহমানী, শিব্বির আহমেদ, ইফতেখার আদনান, সাইফুল ইসলাম, সোলাইমান, রাকিব বিল্লাহ, তারিক জামিল ও হাবিবুল্লাহ।

ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ২০২০/২১ঈসায়ী শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের অত্র জামিয়ায় ভর্তি পালনীয় শর্তাবলীর ২৫নং ধারায় মাদরাসার সমুদয় রীতিনীতি ও আইনকানুন অমান্য করে হুজুরদের বাধা উপেক্ষা করে গত ২৬ মার্চ সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করার সংবাদ পাওয়ার ভিত্তিতে তাদেরকে বহিষ্কার করা হলো।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় মাদরাসার ছাত্র ও হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। এসময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় নিহত হয় ১২জন। এই ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় গত একমাসে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৬৯জনকে।