বিজয়নগরে বায়নাপত্রের জায়গার দলিল না দেওয়ায়, এলাকাবাসীর ক্ষোভে তুলফাল

প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের হরষপুর ইউনিয়নের নিদারবাদ গ্রামে বায়নাপত্রের জায়গার দলিল না দেওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভে তুলফালের সৃষ্টি হয়েছে। সরে জমিনে জানা যায়, গত ২৩/০২/২০২০ ইং তারিখে মৃত সামসুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে বিএনপির নেতা মোঃ ইকরামুজ্জামান চৌধুরী (৫০) একই গ্রামের মৃত আব্দুল ছালামের ছেলে আব্দুল কায়ুমের নিকট পঞ্চাশ লক্ষ বিশ হাজার টাকা মূল্যে বার শতক দশ পয়েন্ট ভিটি ভ’মি বায়নাপত্র মূলে বিক্রি করেন। যা নিদারাবাদ মৌজাস্থ খতিয়ান নং ৬২৪। বায়নাপত্রের সাথে প্রথমত দশ লক্ষ টাকা উক্ত জায়গার মালিক ইকরামুজ্জামান চৌধুরীকে উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলা প্রদান করা হয়। বায়না পত্র প্রদানের পর জায়গার দখল ও চৌহদ্দি বুঝিয়ে দিলেও জায়গা দলিলের ব্যপারে করছে গড়িমসি। কথা ছিল দলিলের দিন বাকী টাকা নিয়ে দলিল সম্পাদন করবে। কিন্তু বায়না পত্রের পর নানান অজুহাত ও চলচাতরি দেখিয়ে দলিল না দিয়ে অন্যত্র জায়গা বিক্রির পায়তারা করছে। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কোন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এ বিষয়ে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সারুয়ার রহমান ভ’ইয়া জানান, এ বিষয়টি আমি অবগত আছি। এ নিয়ে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে আমি দুই পক্ষকে আহবান করেছি কিন্তু জায়গার মালিক ইকরামুজ্জান চৌধুরী উক্ত আহবানে সাড়া দেয় নাই। গত ১৩/০৩/২০২১ ইং তারিখে ইউনিয়নের সমস্ত গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদেরকে নিয়ে পক্ষদ্বয়ের সাথে কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে শালিস সভা করার জন্য আহবান করা হয়। উক্ত তারিখে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনার পর জায়গার মালিক ইকরামুজ্জামান চৌধুরীকে বাকী চল্লিশ লাখ বিশ হাজার টাকা গ্রহণ করে উক্ত বিক্রিত ভ’মি আব্দুল কায়ুমকে সাবকবলা রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার অনুরোধ ক্রমে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে অত্র এলাকার শালিসকার ও বিশিষ্ট ব্যক্তি শাহীন চৌধুরী জানান,গত ২০/০৩/২০২১ ইং তারিখে আমাদের উপস্থিতিতে উক্ত ইকরামুজ্জামান চৌধুরীকে বাবুল মিয়ার বাড়িতে উত্তর ভিটি ঘরে বেলা ১১ টার সময় বিশ লক্ষ টাকা গনিয়া বুঝিয়া নিয়েছেন। তারপরও জায়গার মালিক দলিল না দিয়ে টালবাহানা করছে ও নানান ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলে হুমকি দামকি দিচ্ছে । আমরা বার বার তা সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।