নারীর ফাঁদে পড়ে ঠিকাদার ও ভারতীয় নাগরিক অপহরণ, দুইজন আটক

প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপহরণের পর মোবারক হোসেন নামের ঠিকাদার ও মিন্টু রঞ্জন দাস নামের এক ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল। এই ঘটনায় দুইজনকে আটককের পর রোববার বিকেলে মামলা শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, সিয়াম (১৮) ও রবিন (২২)। তাদের দুইজনের বাড়ি সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামে

পুলিশ জেলা পুলিশ ও সূত্রে জানা যায়, মিন্টু রঞ্জন দাস আশুগঞ্জ-আগরতলা চারলেন সড়ক প্রকল্পে এফকন ইন্সট্রাকশনে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি ভারতের পশ্চিম বঙ্গে। এই সড়ক প্রকল্পে সাব ঠিকাদারের কাজ করেন মোবারক হোসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দুইজন জেলা শহরের কলেজপাড়ায় এক নারীর মাধ্যমে একটি বাড়িতে আমোদ ফুর্তি করতে যান। সেখানে তাদেরকে অপহরণ করে কয়েকজন যুবক ও নারী। আটকের পর তাদেরকে নারীদের সাথে আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়। ছবি তোলার পর সাব ঠিকাদার মোবারক হোসেন ও ভারতীয় নাগরিকের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারিরা।

এদিকে, মোবারকের গাড়ির চালক ওই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সড়কে তার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও ভেতর থেকে বের না হওয়ায় চালকের সন্দেহ হয়। গাড়ির চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানায়। সদর মডেল থানা পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাউকে পায়নি।

পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সদর মডেল পুলিশের সমন্বয়ে একটি দল অভিযান চালায়। এসময় প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রথমে আশুগঞ্জ থেকে ভারতীয় নাগরিক মিন্টু রঞ্জন দাসকে উদ্ধার করা হয়৷ এসময় আটক করা হয় দুই অপহরণকারিকে। তবে বিষয়টি গোপন রেখে আটক দুই অপহরণকারিদের মাধ্যমে অন্য অপহরণকারিদের বলা হয়, অপহৃত ঠিকাদার মোবারক হোসেনকে নিয়ে জেলা শহরের মেড্ডায় এসে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে যেতে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঠিকাদার মোবারক হোসেনকে নিয়ে মেড্ডায় এসে অপহরণকারিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এসময় মোবারক হোসেনকে উদ্ধার করে পুলিশ।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, অপহরণের ঘটনায় ঠিকাদার মোবারক হোসেন বাদি হয় আটক দুইজনসহ ১৩জনের নামে মামলা দায়ের করেছে৷ এই মামলায় আসামীদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছে। আটক আসামীদের রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।