ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেছেন দলটির মেয়র প্রার্থী মো. জহিরুল হক।

নির্বচনে প্রশাসনের আচরণ পক্ষপাতমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আচরণ বিধি অনুযায়ী কোন প্রার্থীর পাঁচটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প থাকতে পারবেনা। কিন্তু আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ৫০টিরও বেশি ক্যাম্প করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে লোক এনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে শোডাউন করছে।


বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগের কথা জানান জহিরুল হক।

তিনি বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ছাড়াও বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে। আমার কর্মীদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট নেই। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা।

তিনি আরও বলেন, আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, ফলাফল যাই হোক মেনে নেব। কিন্তু ভোট ডাকাতি, সন্ত্রাস ও জালিয়াতি এবং ইভিএম কারচুপি হলে মেনে নেব না। জীবন দিয়ে হলেও আমি প্রতিহত করব। আমি এবং আমার দলের নেতাকর্মীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আছে এবং থাকবে।

আচরনবিধি লংঘনের ব্যাপারে জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, পৌরসভা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ১২ ধারা মতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দী কোন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫টির বেশী নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস করতে পারবে না। বিএনপির প্রার্থী জহিরুল হক খোকন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক ভুইয়ার পক্ষে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর বিরুদ্বে আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ এনে আমাকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তারা প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আচরণ বিধি যেনো লঙ্গিত না হয় সে জন্যে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আওয়ামীলীগ প্রার্থী মিসেস নায়ার কবির বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস ৫টিই রয়েছে।তবে আওয়ামীলীগের কিছু অফিস রয়েছে যা আমার নির্বাচনী অফিস বা ক্যাম্প নয়।