ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয় উপজেলায় ১০৯১টি পরিবার পেয়েছেন স্বপ্নের ঠিকানা

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২১

রিপোর্টঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাড়ি পাচ্ছেন ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয় উপজেলায় ১০৯১টি পরিবার পেয়েছেন স্বপ্নের ঠিকানা। প্রথম পর্যায়ে বিধবা, প্রতিবন্ধী স্বামী পরিত্যক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ভূমি ও গৃহহীনরা আসবেন এই প্রল্পের আওতায়। আজ

২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকায় খাস জমি ভরাট করে সারিবদ্ধভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের চালে লাল রংয়ের টিন। থাকার জন্য রয়েছে দুটি কক্ষ। রয়েছে স্টোর রুম, রান্না ঘর ও টয়লেট। এতে একটি পরিবার সাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবে। অসহায় এই সকল মানুষগুলোর কাছে এ যেন এক স্বপ্ন।

প্রতিটি প্রকল্প এলাকায় জেলা প্রশাসনের তদারকিতে ঘর গুলো প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করার প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রকল্প এলাকার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও তদারকি করছেন জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং এসিল্যান্ড সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উপকারভোগীরা জানায়, তারা এতদিন অন্যের বাড়ি অথবা রাস্তার পাশে ঘর তুলে বসবাস করতেন। এখন নিজেদের একটি ঘর পেয়ে তারা খুশিতে আত্মহারা। জমির মালিকানাসহ ঘর পাওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। যতদিন বেঁচে আছেন তার জন্য দোয়া করবেন তারা।

দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল হক জানান, ইট, টিন থেকে শুরু করে প্রতিটি মালামালের গুনগতমাণ ঠিক রেখে কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তা আমরা সর্বদা তদারকি করেছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় বিশেষ এই প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছতা এবং গুণগত মান বজায় রেখে প্রথম পর্যায়ে ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ঘরগুলো প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেছেন। জেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েক মাস ধরে বিরামহীন ভাবে কাজ করে। সে সাথে সমাজের প্রকৃত অসহায়দের মাঝে ঘরের ব্যবস্থা করার জন্য তালিকা প্রস্তুত ও প্রনয়ন করে। এদিকে আজ বিজয়নগর উপজেলায় ১০০টি পরিবারে মাঝে ভুমির কাগজ পএ বুঝিয়ে দেওয়া হয়