আশুগঞ্জ শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার আদালতে মামলা

প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০

প্রতিনিধিঃ মামলার কাগজপত্র(আদালতের নথিপত্র) সূএ থেকে জানা যায়,
২০১৭ সালের বিদায় অনুষ্ঠানের দিন আবুল হোসেন ঐ শিক্ষাকার দিকে কুনজর দেন, তারপর থেকে শিক্ষিকাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকার দায়িত্ব দেন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিচারকের দায়িত্ব দিয়ে বাদিনিকে উতসাহ উদ্দীপনা দিতো এবং তার কুর্ম হাসিলের জন্য চেষ্টা করতো।

এবং বিভিন্ন সময় অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিতো। আবুল হোসেন( মাধ্যমিক শিক্ষা অফসার) তার মেয়ের জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে ঐ শিক্ষিকাকে আবুল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কলেজ পাড়ায় বাসায় ডেকে নেন আশুগঞ্জের হাজী আব্দুল কুদ্দুছ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা উম্মে আসমাকে।

শিক্ষিকার সাথে বিভিন্ন কথা বার্তার সময় কক্ষে একা পেয়ে আবুল হোসেন জোরপূর্বক শিক্ষিকাকে পিছন থেকে জড়িয়ে চুমু দেয়ার এবং বুকে হাত দেয়ার চেষ্টা করে, শিক্ষিকা ঐ সময় চিৎকার শুরু করলে তার মুখ চেপে ধরে ।পরে আকুতি-মিনুতি করে আবুল হোসেনের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে তার নিজ বাসায় কাউতলীতে গিয়ে ছেলে এবং স্বামীকে সব খুলে বলেন।

বিষয়টি শিক্ষিকার স্কুলের সভাপতি শাহাজান আলম সাজুর নিকট বিচার চাই ও তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নিয়াজ মোহাম্মদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়। তারা বিচার করার কথা দিয়েছে। পরবর্তীতে সাহেদুল ইসলাম সামাজিক ভয় -ভীতি দেখিয়ে শিক্ষিকাকে চুপ থাকার পরামর্শ দেয়। শেষে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি জানায়।

বিগত ১৩ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।প১৫ই নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে নারী ও শিশু দমন আদালতে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্যাতিতা শিক্ষিকা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, অভিযুক্ত আবুল হোসেনের সাথে মোবাইল এ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে,”সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রোনিতভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তাদের এই চেষ্টা, “তিনি আরো বলেন”,তদন্তের পর সকলের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হবে