আফজাল হোসেন নিচার চৌধুরীকে স্বরন

প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

মৃনাল চৌধুরী লিটন।। আফজাল হোসেন চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সমবায় ব্যাংক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে তার সাথে আমার পরিচয় 1১৯৮৯ সনে আমি তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর ছাত্র একটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন করি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সেই সময় খুবই প্রতিযোগিতা থাকত এবং সকলের দৃষ্টি থাকতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়া সেদিন আমরা কয়েকজন ছাত্র কর্মী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া ইচ্ছুকদের জন্য একটি ভর্তি পরীক্ষা গাইড মুক্তি নামে বাহির করবো সিদ্ধান্ত নিলাম তখন টাকা কোথায় পাই তা নিয়ে আমরা চিন্তায় পড়ে গেলাম শরণাপন্ন হলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের নিকট তিনি আমাকে একটি চিঠি লিখে পাঠালেন মেড্ডা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ চেয়ারম্যান নিসার ভাইয়ের নিকট তখন উনার সাথে আমার পরিচয় ছিল না আমরা যথারীতি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন নিচার চৌধুরীর নিকট চিঠি নিয়ে হাজির হলাম উনার কার্যালয় উনি আমাদেরকে অত্যন্ত স্নেহের মায়া বন্ধনে চা সিঙ্গারা খাওয়ালেন এবং আমি উনাকে আমাদের ভর্তি গাইড বাহির করবো কিন্তু টাকার সংকট তাই আপনি যদি আমাদেরকে একটি আপনার কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির বিজ্ঞাপন দেন তাহলে আমাদের ভর্তি গাইড কি বাহির করতে পারব তখন তিনি বললেন আপনাদের কত টাকা খরচ হবে আমরা বললাম ৭০০০ টাকা তিনি তখন আমাদেরকে বললেন আমি একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে দিচ্ছি এবং বিজ্ঞাপন বাবদ ৫০০০ টাকা দিয়ে দেব আর আপনরা অন্য কোথাও থেকে আর একটি বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করতে পারলে আপনাদের খরচ মিটে যাবে আর যদি সংগ্রহ করতে না পারেন আপনারা আমার কাছে আসবেন আমি আপনাদের দেখব এই কথা বলে তিনি আমাদেরকে বিদায় দিলেন কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় আমরা যারা উনার নিকট গিয়েছিলাম বয়সে উনি আমাদের পিতৃলোক কিন্তু তিনি সকলকে আপনি বলে সম্বোধন করতেন আমরা উনাকে আপনি বলতে বাধা দিনে তিনি বলেন প্রত্যেকটা মানুষেরই নিজস্ব চরিত্র রয়েছে আমি আমার অবস্থান থেকে কথা বলছি আজকে যখন তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন বারবার উনার কিছু স্মৃতি আমার চোখের সামনে ভেসে আসছে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হতে থাকে এরই মাঝে সারাদেশে ১৮ টি পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট করার জন্য সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেই প্রকল্পটিকে আকৃষ্ট হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতি সন্তান বিজয়নগর কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল ইসলাম সাহেব বিজয়নগরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করার জন্য ছোটাছুটি করছেন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একান্ত সচিব আজকের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম পি সহযোগিতায় বিজয়নগরে স্হাপন হওয়ার সিদ্ধান্ত হল এই সিদ্ধান্তের কথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শোনার পর ইসলামপুরে যাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয় এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাস্তবায়ন পরিষদের কমিটি গঠন করলেন এবং ঘোষণা দিলেন ইসলামপুরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করতে দেবেন না এই নিয়ে যখন দু’পক্ষের টানটান উত্তেজনা এর আগে কাজী শফিকুল ইসলাম ও তিতাস পূর্ব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান কুতুবউদ্দিন চৌধুরী সেলিম ও বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও আমি সহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু আওয়ামীলীগ নেতা আমানুল হক সেন্টু আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান আনসারী তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন সাথে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত পৌছি এবং তারাও সিদ্ধান্ত দেন ইসলামপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন হলে তাদের কোনো আপত্তি নেই এই নিয়ে এবং সেদিনই কাজী শফিকুল ইসলাম ঢাকায় চলে গেলে এবং পরের দিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু ভাইকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাকে দিলেন যথারীতি আমরা আমরা বিকেলের ট্রেনে ঢাকায় রওনা হলাম এবং কমলাপুর রেলস্টেশনে কাজী শফিকুল ইসলাম সাহেবে সাচ্চু ভাইয়ের জন্য অফেেহ্মা করছেন কিন্তু ট্রেনটি ঘোড়াশাল যাওয়ার পরই সাচ্চু ভাই বললেন বিমানবন্দর নেমে যাবেন একথা শুনে আমি দুটানায় পড়ে গেলাম শফিক ভাই কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছেন সাচ্চু ভাইকে নিয়ে মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর বাসায় যাবেন আব্দুল মাতিন খসরু জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এখন কি করি তখন অনেকের কাছেই মোবাইল ফোন ছিল না আমি ট্রেনে ভিতরে পরিচিত কোন ব্যক্তির কাছে মোবাইল ফোন আছে কিনা খুঁজতে থাকি এর মধ্যে দেখা হয়ে গেল আমাদের প্রিয় নিছার ভাইয়ের সাথে উনাকে বললাম ভাই আপনার এই ঘটনাটা নিছার ভাই আমাকে ফোনটা দিয়ে কথা