মন্ত্রী হিসাবে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী-এমপি’র নাম প্রস্তাব।

প্রকাশিত: ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০

করােনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেই রদবদল ঘটতে যাচ্ছে মন্ত্রী সভায়। আর এ রদবদলে আবারও আলােচনায় উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী-এমপি’র নাম। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতা, কর্মী, সহ সংসদ সদস্য’রা মন্ত্রী বানানাের দাবী উঠেছে। আওয়ামীলীগের একটি সূত্র গণমাধ্যমের কাছে দাবী করেছেন, চলতি বাজেট অধিবেশন শেষে যে কোনাে সময় এই অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি সীমিত আকারে আবারও মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মােহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর এই মন্ত্রণালয় এখন মন্ত্রীশূন্য। করােনা ভাইরাস সংক্রমণের পর সবচেয়ে বেশি আলােচনায় রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাত। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সচিবকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নানা আলােচনা সমালােচনায় সরকারের উচ্চ পর্যায় অসন্তুষ্ট। তাই এই মন্ত্রণালয় নিয়েও আসতে পারে নতুন কোন সিদ্ধান্ত। ২৩ জুন থেকে সাধারন মানুষ, নেতা, কর্মী সহ অনেক সংসদ সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তুলেন। এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্যখাতে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রশংসনীয় ভূমিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর মনে আশার আলাে জাগিয়েছে। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়ায়ও উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী’কে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে জোর দাবি তোলা হয়। প্রসঙ্গত, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী- এমপি. ১৯৬৯ সনে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ- সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সনে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিব বাহিনীর অধীনে অংশগ্রহণ করলে পাকিস্তানী বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ১৯৭৩-৭৪ সনে ছিলেন ছাত্র সমাজের শিক্ষা কমিশনের সদস্য, ১৯৭৫ সনে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। তিনি এই গভীর সংকটের সময় শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর, ১৯৭৫ সনে জাতির জনক শাহদাত বরণ করলে দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন ও প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সনের অক্টোবরে গ্রেফতার হয়ে কারান্তরালে ছিলেন। ১৯৭৮ সনে সেপ্টেম্বরে মাসে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। ১৯৮৩ সনে প্রশাসন ক্যাডারে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৬ জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সহকারী একান্ত সচিব এবং ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে উপ-নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি ২য় বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৩য় বার সারা বাংলাদেশের মধ্যে এক নজীরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করে। দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩( ২৪৫ নং সংসদীয় আসন)। এই আসনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী লাভ করে। ওনার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সাহসী, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পথে হাঁটা বরেণ্য রাজনীতিবিদ, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে কোন কাজে সময় উনার সাহস আরও বেড়ে যায়। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন নেতা, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দুর্যোগের সময় বুদ্ধিমত্তার প্রখরতাও চোখে পড়ে। উনার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি স্রষ্টাতে আত্মসমর্পিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাসীর শান্তির অগ্রদূত, হাজারও কর্মীর আদর্শের প্রতীক, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী-এমপি. ছিলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সফল সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। দশম সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়ে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তিনি ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মনোনীত হন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে সাবেক দুইবার সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্রাহ্মনবাড়িয়া বাসী’র প্রানে দাবি- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা‘ দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের মানবতার নেত্রী, সারা বিশ্বের নেতারা ও বাঙ্গালী জাতি আপনা’কে মাদার অব হিউম্যানিটিতে ভূষিত করেছেন। আপনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি অন্ধকার গলি আলোকিত হচ্ছে। গ্রামীন অঞ্চলে আপনার উন্নয়নের ছোঁয়া সাধারণ মানুষ ভোগ করছেন। আপনার সেই‘ উন্নয়নের ধারাকে আরো বেগবান করতে

ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস পাড়ের গর্বিত সন্তান, মহান মুক্তিযোদ্ধের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, জননেতা, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (বীর সেনানী)- এমপি. মতো নিষ্ঠাবান, সাহসিক’ রাজনীতিক যোদ্ধা’দের মন্ত্রী হিসাবে যেন ঠাই হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসীর প্রানের দাবী একটাই, এই সাহসী বীর নেতা’কে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর আস্থা অর্জন করেছেন। অনেক নেতা কর্মীরা তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন। উন্নয়নের রুপকার মোকতাদির চৌধুরী-এমপি. কে মন্ত্রী হিসেবে পাবে বলে সবাই আশাবাদী।

লেখক শেখ এমবান