প্রসঙ্গ : একজন নাসিমা মুকাই আলী

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০

দীপক চৌধুরী বাপ্পি : চরইসলামপুর বিজয়নগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। সেখানে গত উপজেলা নির্বাচনে নাসিমা মুকাই আলী যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ১টি ভোটও পাননি। কারণ ছিল অন্য। এক হাতে জনগণকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে ভোট নেয়া হয়েছে। তা না হলে ফলাফল হয়তো অন্যরকম হতো। মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। নির্বাচনের সময় মনে হতো চরইসলামপুর বিজয়নগরের বাইরে কোন একটি জায়গা। নির্বাচনের সময়ে নাসিমার একটি পোস্টার পর্যন্ত লাগাতে পারেনি চরইসলামপুরে। ভোট চাওয়াতো দূরের কথা। যাক তারপরও বিজয়নগরের জনগণ নাসিমা মুকাই আলীকেই তাদের প্রতিনিধি হিসাবে বেছে নিয়েছে। তাকে মাঠ থেকে সরাতে তার গাড়ি বহরে হামলা ভাংচুরসহ অগ্নিযোগও করা হয়েছে। মানুষ এসবের জবাব ঠিকই দিয়েছে। পেশীশক্তির জোরে জনপ্রতিনিধি হওয়া আর জনগণের সরাসরি ভোটে জনপ্রতিনিধির মধ্যে এখানেই পার্থক্য। প্রতিদিনই তিনি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে কি করতে পারবেন জানি না। তবে তাঁর আন্তরিকতার কমতি নেই। বিজয়নগরের জনগণের মূল আস্থা-ভরসার জায়গা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর অভিভাবক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিক জনাব র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বিজয়নগরকে আধুনিকতায় গড়ে তুলছেন। তিনি প্রতিনিয়ত এলাকার খোঁজখবর রাখছেন। ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন বিভিন্ন ইউনিয়নে। এযাবতকালে বিজয়নগরে মোকতাদির চৌধুরী কয়েক শত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। বিগত সময়ে জনৈক জনপ্রতিনিধিকে লম্বা বক্তৃতা ছাড়া কিছুই করতে দেখা যায়নি। তবে মাঝে মধ্যে নানা অপকর্মের কথা মিডিয়ায় দেখা যায়। যা বিজয়নগরের মানুষ অবগত রয়েছেন। নাসিমা মুকাই আলী মোকতাদির চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে কাজ করে চলছেন। চরইসলামপুরে চলমান করোনা ভাইরাসের সময়ে গত ২৯ এপ্রিল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজ অর্থায়নে ৫ শতাধিক মানুষকে খাদ্য সহায়তা করেছেন। বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। শুনেছি চরইসলামপুরের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নাসিমা মুকাই আলীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি চরইসলামপুর ছাড়াও সকল ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত খাদ্যদ্রব্যের বাইরে ব্যক্তিগত সহায়তা প্রদান করছেন। এ হল জনগণের ভোটে নির্বাচিত সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি। অভিনন্দন বিজয়নগরের সংগ্রামী জনসাধারণ ও নাসিমা মুকাই আলীকে। এগিয়ে যান। বিজয়নগরবাসি অবশ্যই ভালো কাজে আপনার পাশে থাকবে। আপনার প্রতি আবারো শুভ কামনা রইল।