আজ আবদুল কুদ্দুস মাখনের মৃর্তুবার্ষিকী

প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

আজ ১০ই ফেব্রুয়ারী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য, ডাকসুর সাবেক জি,এস ও সংসদ সদস্য মরহুম জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন এমপি এর মৃত্যুবার্ষিকী। মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরের দ:মৌরাইল গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি সম্পৃক্ত হন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৬-৬৭ সালে ফজলুল হক ছাত্র সংসদে সহ সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৬৮-৬৯ সালে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তখন তিনি ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক পটভুমি সৃষ্টিতে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৯৭১ এর স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিশিষ্ট চার জনের তিনি ছিলেন একজন। তাদেরকে তৎকালীন সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের চার খলিফা বলে অভিহিত করা হত। ওই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। ৩ মার্চ ছাত্র পরিষদের এক জনসভায় স্বাধীনতার প্রথম ইস্তেহার পাঠ করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি ও বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক ঘোষণা দেওয়া হয় ওই ইস্তেহারে। ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন আব্দুল কুদ্দুস মাখন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পূবাঞ্চলীয় রিক্রুটমেন্ট ট্রেনিং ও অস্ত্র সরবরাহের দ্বায়িত্বে ছিলেন এই সাহসী দেশ প্রেমিক। যুদ্ধকালীন সময়ে ইস্টার্ন লিবারেশন কাউন্সিলের ছাত্র প্রতিনিধির দ্বায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীনগর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এই মহান নেতা। ১৯৯০ এর গণ আন্দোলনেও ছিল তার বিশেষ ভূমিকা। “কাল জয়ী হে বীর, তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী”।