দেহদান করে গেলেন ঋত্বিক ঘটকের যমজ বোন প্রতীতি দেবী বিজয়নগর বিজয়নগর নিউজ প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২০ বিজয়নগরনিউজ।। চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য মৃত্যুর আগেই লিখিতভাবে দেহদান করে গিয়েছিলেন ঋত্বিক ঘটকের যমজ বোন প্রতীতি দেবী। তাঁর মৃত্যুর পর লিখিত চুক্তি অনুযায়ি দেহ দান সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজয়নগর নিউজ অনলাইনকে জানান তার মেয়ে অ্যারোমা দত্ত। সোমবার ( ১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়ে অ্যারোমাসহ আরো কয়েকজন আত্মীয় ও শুভানুধ্যায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীতি দেবীর দেহ হস্তান্তর করেন। অ্যারোমা জানান, আমাদের সমাজের জন্য, গবেষণার জন্য, মানবতার জন্য এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে প্রতীতি দেবীর দেহ হস্তান্তর করি। মৃত্যুর আগে অনেকেই অঙ্গীকার করলেও মৃত্যুর পরে নানা সামাজিক কারণে দেহদান আর বাস্তবে হয়ে ওঠে না। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রতীতি দেবীর পরিবারের সদস্যরা স্বেচ্ছায় তার দেহদান করে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বলেই মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িতরা। মা প্রতীতি দেবীর সঙ্গে মেয়ে আরমা দত্ত গেল রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রতীতি দেবী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি সম্পর্কে উপমহাদেশের প্রখ্যাত নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের যমজ বোন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পুত্রবধূ, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্তের মা এবং মহাশ্বেতা দেবীর পিসি। ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর পুরান ঢাকার হৃষীকেশ দাস রোডের এক বাড়িতে ঋত্বিক ঘটক আর প্রতীতি দেবী ঘটকের জন্ম হয়। যমজ সন্তান হওয়ায় তাদের বাবা-মা ঋত্বিক ও প্রতীতি দেবীকে ভবা ও ভবি নামে ডাকেন। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময় পরিবারের অধিকাংশ ব্যক্তি বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। ঋত্বিক ও প্রতীতিও চলে গিয়েছিলেন ভারতে। কিন্তু পরে বাংলাদেশে ফিরে আসেন প্রতীতি। তার বিয়ে হয় ভাষা সংগ্রামী ও পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পুত্র সঞ্জীব দত্তের সঙ্গে। পুত্র রাহুল দত্ত ও কন্যা আরমা দত্তকে নিয়ে বাংলাদেশেই তিনি থেকে যান। মাঝে কিছুদিন আগরতলা, কলকাতা ও পন্ডিচেরিতে তিনি অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু নিজের মাটিকে ছেড়ে যাননি। তাঁর চোখের সামনে ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ কুমিল্লার নিজ বাসভবন থেকে পাক হানাদার বাহিনী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তাঁর ছোট ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁর যমজ ভাই ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক মারা যান ১৯৭৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। Related posts:শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোকতাদির চৌধুরী- এমপি পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময়অগ্নিযুগের বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদার " এর জন্মদিননাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ Post Views: ৬৭৭ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: