পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রী,স্বামী-সন্তান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২০

বিজয়নগর নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউপির ইসলামপুর গ্রামে পরকীয়ার আসক্তিতে নাসিমা আক্তার নামে এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনায় মায়ের মমতা বঞ্চিত অসহায় দুটি সন্তান এখন তাদের দাদির কাছে জীবনযাপন করছে।

এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীর সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউপির ইসলামপুর গ্রামের ছেনাই খার ছেলে মো.আব্বাস খা এর সাথে একই উপজেলার চান্দুরা ইউপির চান্দুরা গ্রামের মৃত লিয়াকত মীরের কোন্যা নাছিমা আক্তারের সাথে বিগত ১৬ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের ঘরে ফাহিম ও ফারিন নামের দুটো সন্তান জন্ম নেয়। নাছিমা আক্তারের স্বামী স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে ঢাকায় সুপার মিস্ত্রী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।এরইমধ্যে নাছিমা আক্তার পরকীয়ায় আসক্ত হয়। এক পর্যায়ে হঠাৎ করে নাছিমা আক্তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ।স্ত্রীর নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে স্বামী আব্বাস খা ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে খুঁজখবর নিয়ে জানতে পারে। পার্শ্ববর্তী সরাইল উপজেলার বুইশ্বর গ্রামের সমসর আলীর ছেলে রুস্তম আলীর সাথে পালিয়ে যান।

এব্যাপারে ভূক্তভোগী মো. আব্বাস খা জানান, আমার স্ত্রী নাসিমা আক্তারের অনৈতিক সকল কর্মকান্ড জানেও দুটো সন্তানের ভবিষ্যৎ ও সুখের কথা চিন্তা করে আমার শশুর বাড়ির লোক জনের সঙ্গে আলোচনা করে স্ত্রীকে উদ্ধার করতে বিজয়নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ৩০। উক্ত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজয়নগর থানার এস, আই জুয়েল রানা ভূঁইয়াকে।ভূক্তভোগী মো.আব্বাস খা আরো জানান, এতোদিন হলো মামলা দায়ের করলাম কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই জুয়েল রানা ভূঁইয়া এর কাছথেকে কোন ফলাফল পাইনি উল্টো আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস, আই জুয়েল রানা ভূঁইয়া টাকার বিনিময় আসামিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এমনকি আমার আসামীদেরকে নিরাপত্তাসহ শেল্টার দিচ্ছেন।যে কারনে আসামীগণ আমাকে মামলা তোলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি ধুমকি দিয়ে আসছে।

এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস, আই জুয়েল রানা ভূঁইয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।