কলেজ ছাত্রী শরীফাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

বিজয়নগর নিউজ।। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্রী শরীফা আক্তার (২৪) ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন নি, তাঁকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। শরীফার লাশের ময়না তদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। শরীফাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়া হয় উল্লেখ করে তাঁর বাবা মোঃ মজিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ময়না তদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট আসার পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেশটিগেশনের কাছে মামলাটি হস্তান্তরের আবেদন করেছেন মজিবুর রহমান। এতে অভিযোগ করা হয়, ঘটনার পর পুলিশ ভুল বুঝিয়ে মজিবুর রহমানকে দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা করিয়েছেন। এমনকি দুইটি তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো বাদীকে হয়রানি করেছেন। শরীফা আক্তার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে। অভিযুক্ত সোহেল মিয়া ওরফে হুসাইন একই এলাকার আক্কাছ মিয়ার ছেলে। শরীফা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার বাসায় ভাড়া থেকে পড়াশুনা করতেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর সদর থানা পুলিশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে উড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শরীফার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ১২ সেপ্টেম্বর মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচণায় অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সোহেল প্রায়ই শরীফা আক্তারকে উত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে বিদেশে গিয়েও ফোনে তাকে উত্যক্ত করা হয়। বিদেশ থেকে ফিরে শরীফার বোনের বাড়ি বিজয়নগরে গিয়েও সোহেল উত্যক্ত করে। ঘটনার দিনও সোহেল উত্যক্ত করে। মজিবুর রহমান গত মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর ২০১৯) বিকেলে বলেন, ‘শুরু থেকেই ধারণা করছিলাম শরীফাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনোভাবেই সেটা মানতে চাচ্ছিল না। পুলিশের চাপাচাপির কারণেই আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা করি। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পেয়ে পুলিশকে জানালেও তাঁরা কর্ণপাত করেন নি। মামলার আসামীকে না ধরে উল্টো আমাকে হয়রানি করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা।’ মেয়ে হত্যাকারিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বলেন, ‘দুইটি রিপোর্টই আমার হাতে এসেছে। ময়না তদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে শরীফাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শরীফার গলায় আঙ্গুলের ছাপও রয়েছে। তাকে যে হত্যা করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাদী পক্ষ মামলাটি তদন্তভার পিবিআইকে দেয়ার জন্য আবেদন করেছেন। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে।