রাজনীতি ও শিস্টাচার

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৯

মৃনাল চৌধুরী লিটন।। রাজনীতি একটি একটি মহান পেশা রাজনীতি বিজ্ঞান তাই বলে পলিটিক্যাল সাইন্স ইজ দা সাইন্স অল সাইন্সশিষ্টাচার সমাজ থেকে শেষ হয়ে গেছে? শিষ্টাচার জীবন থেকে চলে গেছে? একেবারে চলে গেছে বলা ঠিক হবে না। এখনও শিষ্টাচার আছে বলে সমাজ আছে। রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাচ্ছে শিষ্টাচার, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌজন্য। একই সঙ্গে সামাজিক মূল্যবোধও কমছে। এক দলের নেতার সঙ্গে আরেক দলের নেতানেত্রীর এখন আর আগের মত হৃদ্যতা নেই। একে অপরের প্রতি সম্মান, ন্যূনতম সৌজন্যও দেখান না তারা। এমনকি নিজ দলের মধ্যে ও ন্যূনতম সৌজন্যও দেখান না রাজনীতিতে শিষ্টাচার একটি শব্দ আছে যখনই রাজনৈতিক শিষ্টাচার নষ্ট হয়ে যায় তখনই রাজনীতিতে কাল ঘনঘটা দেখা যায় সম্প্রতি বিজয়নগর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আল মামুন সরকারের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে চলছে তার পক্ষে তার বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা আমি ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা-সমালোচনার বিরোধী কারণ একটি রাজনৈতিক সংগঠনের গঠনগত থাকে আর সেই গঠনতন্ত্রের উপর ভিত্তি করেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে থাকে আর তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের গন সংগঠন যুবলীগ-ছাত্রলীগ শ্রমিক লীগ পরিচালিত হয়ে থাকে এই পরিচালনার মধ্যে একে অপরের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করাই স্বাভাবিক লক্ষ্য করছি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বক্তব্য বিরোধিতা করে ফেসবুকে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন নি আল মামুন সরকার সাহেব কি বক্তব্য দিয়েছেন যা মানুষের মনে ধোঁয়াশা তৈরি করে এবং ছাত্রলীগের প্রাক্তন কর্মী হিসেবে আমি মনে করি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ছাত্রলীগ যুবলীগ যুবলীগ কোন নেতা কর্মীর দায়িত্ব নেই যেখানে যদি এভাবে কথা বলা হয় সবার হয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের যারা আল মামুন সরকারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের নীতি-নৈতিকতা ও শিষ্টাচার সম্পর্কে ধারনা নেই যারা আজকে শিষ্টাচার বিবর্জিত কাজ করছে তারা গঠনতন্ত্রের ধারণা এবং সংগঠন পরিচালনা করার নিয়ম নীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় একটি সংগঠন পরিচালিত হয় গঠনতন্ত্রের আলোকে গঠনতন্ত্রে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে সাংগঠনিক কাজকর্ম করতে হলে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অতিথি ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা করে সভাপতি যখন কোনো সিদ্ধান্ত সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী কমিটি সকলের সাথে মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত দেন আবার সাধারণ সম্পাদক যখন সিদ্ধান্ত দেন তখন সভাপতি কার্যকরী কমিটি সকলের সাথে মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত দেন তাই সমলোচনা না করে গঠনতন্ত্রের দেখার কথা বলছি রাজনীতিতে কোনো নেতার বক্তব্য মনপূত না হলে তাহা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সমাধান করা যেতে পারে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাবে প্রচার করে দলের জন্য দেশের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না তাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দলীয় শৃঙ্খলা গ্রহণ করে রাজনীতি এগিয়ে নিতে পারবে